মৌলভীবাজারে ‘লাম্পি স্কিন’ ভাইরাস ব্যাপক সংক্রমণ : মারা গেছে ৫০টি, আক্রান্ত প্রায় ৭ হাজার

প্রকাশিত: ৫:৪৯ অপরাহ্ণ, জুন ২৪, ২০২০

মৌলভীবাজারে ‘লাম্পি স্কিন’ ভাইরাস ব্যাপক সংক্রমণ : মারা গেছে ৫০টি, আক্রান্ত প্রায় ৭ হাজার

স্বপন দেব, মৌলভীবাজার প্রতিনিধি :: মৌলভীবাজার জেলায় ব্যাপকভাবে গরুর ‘লাম্পি স্কিন’ রোগ দেখা দিয়েছে। ইতিমধ্যে জেলায় গত ১৫ দিনে মারা গেছে ৫০টি গবাদিপশু। হঠাৎ করে দেখা দিয়েছে লাম্পি স্কিন রোগের কারনে গরুর শরীরের লোম পড়ে যাচ্ছে।

কুলাউড়ার কৃষক সুজিত াস জানান, আক্রান্ত গরুর শরীরের তাপমাত্রা বেশি থাকে। কিছু খেতে চায় না। মুখ এবং নাক দিয়ে লালা বের হয়। গ্রামের পশু ডাক্তারের মাধ্যমে বেশ কিছু নি চিকিৎসা করার পরেও গরুর রোগ কমছে না। এছাড়া গরুর শরীরের বিভিন্ন স্থানে পচন ধরেছে।

চিকিৎসার জন্য জেলা পশু হাসপাতালে যোগাযোগ করে জানতে পারেন এই রোগের নাম ‘লাম্পি স্কিন’। রোগ শনাক্ত করতে দেরি হওয়ায় এখন গরু গুলো বাঁচিয়ে রাখাই অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, লাম্পি স্কিন নামক রোগে আক্রান্ত হয়ে জেলার বিভিন্ন এলাকায় ৫০টি ওপর গরু মারা যাওয়া খবর পাওয়া গেছে। এই রোগে গত প্রায় ৩-৪ মাস ধরে জেলার ৭টি উপজেলায় এ রোগ ছড়িয়েছে ব্যাপকভাবে। এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে ৬ হাজার ১১০টি গরু।

মৌলভীবাজার জেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা, ডাঃ মোঃ মাছুদার রহমান সরকার বলেন, জেলায় সর্বশেষ পরিসংখ্যন অনুযায়ী গবাদি পশুর সংখ্যা ৪ লাখ ৮৫ হাজার। সরকারি হিসেব মতে আক্রান্তের সংখ্যা সাড়ে ৬ হাজার। আর মারা গেছে গত ১৫ দিনে ৫০টি গবাদিপশু।

তিনি বলেন, প্রাণিসম্পদ প্তর বলছে জনবল ও বিভিন্ন ধরনের ঔষধ সংকটের কথা। লাম্পি স্কিন নামীয় ভাইরাসের কোন স্থায়ী চিকিৎসা নেই। এ জন্য গবাপিশুর আবাসস্থল পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখা সহ লিফলেট বিতরণ করে প্রচারণা চালানো হচ্ছে।

স্থানীয় কৃষক ও ক্ষুদ্র খামারিরা মনে করেছেন লাম্পি স্কিন রোগে আক্রান্তের সংখ্যা যে হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। ্রুত এ রোগের চিকিৎসা সহ প্রতিষেধক য়ো না গেলে গবাদি পশু গুলোকে বাঁচানো যাবেনা। এতে পশু সম্পদের বড় ধরনের ক্ষতির সম্মুখিন হতে হবে।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

সংবাদ অনুসন্ধান ক্যালেন্ডার

MonTueWedThuFriSatSun
    123
252627282930 
       
  12345
2728     
       
28      
       
       
       
1234567
2930     
       

আমাদের ফেইসবুক পেইজ