পরমাণু নীতি পরিবর্তনের ইঙ্গিত ইরানের

প্রকাশিত: ৯:৩৩ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ২৯, ২০২৪

পরমাণু নীতি পরিবর্তনের ইঙ্গিত ইরানের

পরমাণু নীতি পরিবর্তনের ইঙ্গিত ইরানের
অনলাইন ডেস্ক

 

পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহাল করা হলে পরমাণু অস্ত্র তৈরি না করার নীতি পুনর্বিবেচনা করতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছে ইরান। বৃহস্পতিবার দ্য গার্ডিয়ান-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ইরানের শীর্ষ কূটনীতিক আব্বাস আরাঘচি এ মন্তব্য করেন।

ইরান শুক্রবার যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স এবং জার্মানির সঙ্গে পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে আলোচনায় বসতে যাচ্ছে। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রসহ এই দেশগুলো জাতিসংঘের পরমাণু পর্যবেক্ষণ সংস্থা আইএই -এর মাধ্যমে ইরানের বিরুদ্ধে তিরস্কারের প্রস্তাব করে।

জাতিসংঘের চূড়ান্ত তিরস্কারের পর তেহরান ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানালেও আলোচনায় বসার ইচ্ছা প্রকাশ করেছে। বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ক্ষমতায় প্রত্যাবর্তনের আগেই ইরান এই উদ্যোগ নিয়েছে। আগের ট্রাম্প প্রশাসন ইরানের বিরুদ্ধে ‘সর্বোচ্চ চাপ’ প্রয়োগের নীতি অনুসরণ করেছিল।

ইরান বারবার জানিয়েছে, তারা শান্তিপূর্ণ উদ্দেশ্যে পরমাণু শক্তি ব্যবহার করতে চায়। তবে, জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, ইরানই একমাত্র দেশ যারা ৬০ শতাংশ পর্যন্ত ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করছে। এটি পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির প্রাথমিক পর্যায়ের কাছাকাছি।

ইরানের পরমাণু নীতির ভবিষ্যৎ
গার্ডিয়ানকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি বলেন, বর্তমানে আমরা ৬০ শতাংশ সমৃদ্ধির সীমা অতিক্রম করার কোনো পরিকল্পনা করছি না। এটি আমাদের বর্তমান সিদ্ধান্ত। তবে তিনি আরও জানান, ইরানের অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন মহলে পারমাণবিক নীতি পরিবর্তনের বিষয়ে আলোচনা চলছে।

২০১৫ সালের পরমাণু চুক্তিতে পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা থেকে মুক্তি পেতে ইরান তাদের পরমাণু কর্মসূচি সীমিত করার প্রতিশ্রুতি দেয়। তবে ২০১৮ সালে ট্রাম্প প্রশাসন একতরফাভাবে এই চুক্তি থেকে সরে আসে এবং ইরানের ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহাল করে।

জবাবে ইরান ধীরে ধীরে চুক্তির শর্ত লঙ্ঘন করে এবং ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধির মাত্রা বাড়িয়ে ৬০ শতাংশে নিয়ে যায়। যদিও ইরান বরাবরই পরমাণু অস্ত্র তৈরি করার ইচ্ছা অস্বীকার করেছে।

ইউরোপীয় দেশগুলোর সঙ্গে ইরানের আলোচনার অগ্রগতি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে, ইরানের ভবিষ্যৎ পরমাণু নীতি এই আলোচনার ফলাফলের ওপর নির্ভর করছে।

বিডিপ্রতিদিন

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ