সিলেট ২৭শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ | ১২ই আশ্বিন, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৭:৩৯ অপরাহ্ণ, জুন ২৪, ২০২০
অনলাইন ডেস্ক :;
অসচ্ছল পরিবারে চায়ের দোকান করে কোনো রকমে সংসার চালান সুরেশ গাঙ্গওয়াল। মধ্যপ্রদেশের ভোপাল থেকে আরও প্রায় ৪০০ কিলোমিটার দূরে নিমুচের বাসস্ট্যান্ডে তার ছোট্ট একটি চায়ের দোকান। ২৫ বছর ধরে দোকান করলেও তেমন স্বচ্ছলতার মুখ দেখেনি পরিবা। কোনো কোনো সময় মেয়ের স্কুল-কলেজের পরীক্ষার ফি দিতে পারেননি বাবা। অন্যের কাছ থেকে চেয়ে তা পরিশোধ করতে হয়েছে। সেই পরিবার থেকে উঠে এসে ভারতীয় বিমানবাহিনীর যুদ্ধবিমানের পাইলট হলেন মেলে আচল গাঙ্গওয়াল।
চা দোকানি সুরেশের ২৪ বছরের মেয়ে আচল গাঙ্গওয়াল দেখিয়েছেন, ইচ্ছা থাকলে চা-বিক্রেতার মেয়েও পারে বিমানবাহিনীর যুদ্ধবিমানের পাইলট।
বাবা সুরেশ বলেন, ২০১৩ সালে উত্তরাখণ্ডের কেদারনাথে প্রকৃতির তাণ্ডব চলাকালীন বিমানবাহিনীর কর্মীরা স্থানীয় মানুষদের সাহায্য করেছিলেন তা দেখেই রীতিমতো বিমানবাহিনীর প্রতি তীব্র ভালোবাসা তৈরি হয় মেয়ের। তখন থেকেই একজন ফ্লাইং অফিসার হওয়ার স্বপ্ন দেখতে শুরু করে আচল, আর এখন সেই স্বপ্নই সত্যে হয়ে গেছে।
তিনি জানান, স্বপ্নকে সত্যি করতে আঁচল বইপত্র জোগাড় করে পরীক্ষার প্রস্তুতি শুরু করে। পরপর পাঁচবার বিমানবাহিনীর পরীক্ষায় ব্যর্থ হলেও আশা ছাড়েননি। আকাশে ওড়ার স্বপ্ন দেখে তার মেয়ে। শেষপর্যন্ত ষষ্ঠবারের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন আচল।
পাইলট মেয়ের বাবার বলেন, আমি গত ২৫ বছর ধরে একটি চায়ের দোকান চালাচ্ছি। সুতরাং, বুঝতেই পারছেন আমার অর্থনৈতিক পরিস্থিতি কেমন? অনেক সময় তো আমার মেয়ের স্কুল বা কলেজের ফি দেওয়ার জন্যও টাকা থাকত না আমার কাছে। সেই সময় আমি অনেকবার অন্যদের কাছ থেকে ধার নিয়েছি এবং ওর ফি দিয়েছি।
এমন পরিস্থিতিতে শেষপর্যন্ত মেয়ে আচল গাঙ্গওয়াল ফ্লাইং অফিসার হতে পারায় গর্বিত বাবা।
সূত্র: এনডিটিভি
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ নাজমুল কবীর পাভেল
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক : জুমা কবীর মিম
সহ সম্পাদকঃ আরিফ মাহবুব
নির্বাহী সম্পাদকঃ ধ্রুব জ্যোতি দে
ব্যবস্থাপনা সম্পাদকঃ মাহমুদা আক্তার বিউটি
আইটি সম্পাদক : মাসুম আহমদ
উপদেষ্টা সম্পাদক : এ্যাডভোকেট জাহানারা বেগম
ইমেইল: sylnewsbd@gmail.com, pavel.syl@gmail.com
ফেইসবুক পেইজ : Syl News BD
মোবাইলঃ 01712-540420
শ্রীহট্ট মিডিয়া লিমিটেডের একটি প্রতিষ্ঠান।
Design and developed by ওয়েব নেষ্ট বিডি