সিলেট ২৫শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১১ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৮:২২ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ৯, ২০২৪
ভাসানী ও ওসমানীর জন্ম ও মৃত্যু বার্ষিকী পূর্ণ
রাষ্ট্রীয় ভাবে পালনের দাবীতে ভাসানী-ওসমানী
স্মৃতি সংসদের স্মারকলিপি প্রদান
সংবাদ বিজ্ঞপ্তি
মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী ও বঙ্গবীর জেনারেল এম. এ. ওসমানী এর জন্ম ও মৃত্যু বার্ষিকী রাষ্ট্রীয় ভাবে পালনের দাবী জানিয়ে সিলেটের বিভাগীয় কমিশনারের মাধ্যমে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার কাছে স্মারকলিপি প্রধান করেছেন ভাসানী ওসমানী স্মৃতি সংসদের নেতৃবৃন্দ।
গত ৯ ডিসেম্বর সোমবার বিভাগীয় কমিশনার পক্ষে স্মারকলিপি গ্রহণ করেন অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) দেবজিৎ সিংহ। স্মারকলিপি প্রদান করেন ভাসানী-ওসমানী স্মৃতি সংসদের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান জুলাই-আগস্ট বিপ্লবের আহত মোঃ আমিনুল ইসলাম বকুল ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ মাস্টার সুলতান চৌধুরী।
স্মারকলিপিতে বলা হয়, স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা মুক্তিযোদ্ধকালীন প্রবাসী সরকারের উপদেষ্টামন্ডলীর সভাপতি, উপমহাদেশের প্রবীণতম রাজনীতিবিদ, ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের পুরোধা, স্বাধীন সার্বভৌম এর সুরক্ষার জন্য যিনি আজীবন সংগ্রাম করেছেন, তৃণমূলের যার ভিত্তি এবং জনগণ যাকে মজলুম জননেতা উপাধী দিয়েছিলেন সেই ব্যক্তি মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী। তিনি বিগত দিন হতে আজ অবধি অবহেলিত আছেন। তাঁর জন্ম তারিখ ১৮৮০ সালের ১২ ডিসেম্বর সিরাজগঞ্জ জেলার সরাধানপাড়া গ্রামে ও তাঁর মৃত্যু ১৯৭৬ সালের ১৭ই নভেম্বর অবহেলিতভাবে পালিত হয়। তাই বর্তমান জনসমর্থিত অন্তর্বর্তীকালনি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের নিকট আকুল আবেদন এই যে মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর জন্ম ও মৃত্যুবার্ষিকী পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় পালন করার জোর দাবী জানান।
পৃথিবীর বুকে এবং ইতিহাস খ্যাত সমরবিদ তিন তিনটি যুদ্ধে যিনি বিজয় অর্জন করেছেন। যথা ২য় বিশ্বযুদ্ধ, পাক-ভারত যুদ্ধ ও ১৯৭১ এর সসস্ত্র যুদ্ধে যিনি সর্বাধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেছেন। যিনি ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট এর প্রতিষ্ঠাতা, পৃথিবীর বুকে যিনি পাপা টাইগার হিসাবে পরিচিতি লাভ করেছিলেন, মুক্তিযুদ্ধকালীন প্রবাসী সরকারের বিভিন্ন ষড়যন্ত্র ঘাত-প্রতিঘাত, অন্তর্নিহত কোন্দল ও ভারতের ভারতের কু-দৃষ্টি থেকে দেশ মাতৃকার প্রয়োজনে ৯ মাস তার অক্লান্ত পরিশ্রমে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্র সৃষ্টি হয়েছিল, সেই মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক বঙ্গবীর মুহাম্মদ আতাউল গনি (এম.এ.জি) ওসমানীর জন্ম ১৯১৮ সালের ১লা সেপ্টেম্বর সুনামগঞ্জ এর শহর তাঁর পিতা এসডিও মফিজ আলীর কর্মস্থলে ও তাঁর মৃত্যু ১৯৮৪ সালের ১৬ই ফেব্রুয়ারী। তাঁকে দাফন করা হয় শাহজালাল রহ: মাজার প্রাঙ্গণে। সেই ক্ষণজন্মা বঙ্গবীর এম.এ.জি ওসমানীর জন্ম ও মৃত্যুবার্ষিকী úূর্ণ রাষ্ট্রিয়ভাবে পালন এর জন্য দাবী জানান।
বিদ্রহী কবি, বাংলাদেশের জাতীয় কবি যিনি ১৯৪০ সালে একটি গানের মাধ্যমে বাংলাদেশের নামকরণ করেছি।
“বাংলদেশের কুঠির হতে সালাম জানাই হে রাসূল।”
যিনি ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলন করতে গিয়ে ব্রিটিশদের অসংখ্যা নির্যাতন নিপিড়ন জেল জুলুমের স্বীকার হয়েছিলেন, আজকের বাংলাদেশ সৃষ্টি হয়েছে সেই চির বিদ্রোহী কবিকে বাংলাদেশের জাতীয় কবির মর্যদা এবং জন্ম ও মৃত্যুবার্ষিকী সম্পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যদায় পালন করার জন্য জোর দাবী জানান।
বিগত স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে ফ্যাসিস হাসিনার বিরুদ্ধে জুলাই-আগস্ট বিপ্লবে যারা আহত-শহিদ হয়েছেন এবং পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন ও যাদের পরিবার নিঃস্ব হয়েছে, সর্বপরি ক্ষতিগ্রস্থ সকলকে রাষ্ট্রিয়ভাবে সম্মাননা ও ক্ষতিপূরণ প্রদান এবং পাঠ্যপুষ্পকে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সহ ২০২৪ এর জুলাই-আগস্ট বিপ্লবীদের ইতিহাস অন্তর্ভুক্ত করার জোর দাবী জানান এবং জুলাই-আগস্ট শহিদ স্মৃতি সংসদে ঢাকাস্থ কার্যালয়ে সকলের নাম সহ তালিকা থাকার দাবি জানান।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ নাজমুল কবীর পাভেল
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক : জুমা কবীর মিম
সহ সম্পাদকঃ আরিফ মাহবুব
নির্বাহী সম্পাদকঃ ধ্রুব জ্যোতি দে
ব্যবস্থাপনা সম্পাদকঃ মাহমুদা আক্তার বিউটি
আইটি সম্পাদক : মাসুম আহমদ
উপদেষ্টা সম্পাদক : এ্যাডভোকেট জাহানারা বেগম
ইমেইল: sylnewsbd@gmail.com, pavel.syl@gmail.com
ফেইসবুক পেইজ : Syl News BD
মোবাইলঃ 01712-540420
শ্রীহট্ট মিডিয়া লিমিটেডের একটি প্রতিষ্ঠান।
Design and developed by ওয়েব নেষ্ট বিডি