‘শিপিং খাত থেকে এই প্রথম ৪৭৫ কোটি টাকা সরকারি কোষাগারে জমা’

প্রকাশিত: ৮:১৩ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ১১, ২০২৪

‘শিপিং খাত থেকে এই প্রথম ৪৭৫ কোটি টাকা সরকারি কোষাগারে জমা’

‘শিপিং খাত থেকে এই প্রথম ৪৭৫ কোটি টাকা সরকারি কোষাগারে জমা’

অনলাইন ডেস্ক

 

নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ ইউসুফ বলেছেন, দেশে এখন একশ’র অধিক সমুদ্রগামীজাহাজ রয়েছে। শুধু শিপিং কর্পোরেশনের আওতায় ৮টি রয়েছে। প্রথমবারের মত শিপিং খাত থেকে প্রায় ৪৭৫ কোটি টাকা এবার সরকারি কোষাগারে জমা হয়েছে। দেশের ইতিহাসে আমি মনে করি এটি গর্বের। বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশনকে এগিয়ে নিতে সমুদ্রগামী ৮টি জাহাজ ক্রয়ের জন্য চীনা কোম্পানীর সাথে আলোচনা চলছে। দেশে বিদ্যমান ৮টি সমুদ্রগামী জাহাজের বহরে আরও ৮টি যুক্ত হলে ১৬টি জাহাজ নিয়ে শিপিং কর্পোরেশন এগিয়ে যাবে।

আজ বুধবার বিকেলে রংপুর পীরগঞ্জ উপজেলায় মেরিন একাডেমি প্রাঙ্গনে তৃতীয় ব্যাচের ৪৫ ক্যাডেটদের পাসিং আউট প্যারেড অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব বলেন, দেশের তৃতীয় সমুদ্রবন্দর পায়রা তার কার্যক্রম শুরু করেছে। সেখানে দেশি-বিদেশি জাহাজ আসছে। সরকার মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্রবন্দরের প্রথম ধাপের কাজ শেষ করেছে। আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্র বন্দর পূর্ণাঙ্গরুপে চালুর মাধ্যমে সুনীল অর্থনীতির সুফল লাভে দেশ এগিয়ে যাবে।

তিনি বলেন, আমরা ৩টি বে-টামির্নাল নির্মাণের জন্য চুক্তিবদ্ধ হতে যাচ্ছি। একটি দেখবে চট্টগ্রাম পোর্ট অথরিটি, একটি দেখবে পিএসএ সিঙ্গাপুর ও একটি দুবাইয়ের ডিপি ওয়াল্ড। আরও একটি বে-টার্মিনাল নির্মাণের কথা হচ্ছে। বে-টার্মিনালগুলো হলে দেশের উন্নয়ন কেউ আটকে রাখতে পারবে না।

তিনি আরও বলেন, পতেঙ্গা টার্মিনাল উন্নয়নের পর তা সৌদি আরবের একটি কোম্পানীকে লীজ দেওয়া হয়েছে। চট্টগ্রামের লালদিয়াতে টার্মিনাল মাকর্সলাইনকে লীজ দেওয়ার ব্যবস্থা হয়েছে। তাদের সাথে আমাদের চুক্তি হয়েছে। দ্রুত তারা কাজ শুরু করবে। এভাবে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি।

তিনি বলেন, নতুনভাবে প্রতিষ্ঠিত ৪টি মেরিন একাডেমিতে আন্তর্জাতিক ও বিশ্বমানের সিমিউলেটর দেওয়ার জন্য প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। গতকাল জাপানের একটি কোম্পানী চট্টগ্রাম মেরিন একাডেমিতে বৈঠক করেছে। মেরিন একাডেমির গ্রাজুয়েটরা সমুদ্র প্রশিক্ষণ শেষে জাপানী প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ পেতে পারে।

তিনি আরও বলেন, আমরা ২০২১ সালের আইএমও কাউন্সিলের নির্বাচনে হেরেছি। কিন্ত ২০২৪ সালের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জয়লাভ করেছি। আগামীতে আমরা ডাইরেক্টর জেনারেল পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবো বলে প্রত্যাশা করছি। আইএমও সদস্য রাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিক মেরিটাইম সম্প্রদায় বাংলাদেশের নীতি ও কর্মের প্রতি যে বিশ্বাস রাখে তার এটি স্পষ্ট বর্হিপ্রকাশ।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন, রংপুর মেরিন একাডেমির কমান্ড্যান্ট ক্যাপ্টেন সাঈদ সাত্তার। কুচকাওয়াজ শেষে কৃতি ক্যাডেটদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। আয়োজনে রংপুর জেলা ও পুলিশ প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা, নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা, সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তা, ক্যাডেটদের অভিভাবক, মুক্তিযোদ্ধাসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।

বিডি প্রতিদিন/