কাবাঘরের চেয়ে উঁচু স্থানে নামাজ পড়া যাবে?

প্রকাশিত: ৫:৩২ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ১২, ২০২৪

কাবাঘরের চেয়ে উঁচু স্থানে নামাজ পড়া যাবে?

কাবাঘরের চেয়ে উঁচু স্থানে নামাজ পড়া যাবে?

মুফতি আহমদ আবদুল্লাহ

 

হাবিব রবিউল হক পেশায় একজন ব্যবসায়ী। সম্প্রতি তিনি ওমরাহ পালন করেন। মসজিদুল হারামে নামাজ আদায়ের সময় তিনি লক্ষ করেন, বহু মানুষ পবিত্র কাবাঘরের চেয়ে উঁচু স্থানে দাঁড়িয়ে নামাজ আদায় করছে। তার প্রশ্ন হলো, কাবাঘরের চেয়ে উঁচু স্থানে দাঁড়িয়ে নামাজ পড়লে কি নামাজ হয়?

ফকিহ আলেমরা বলেন, কাবাঘরের চেয়ে উঁচু স্থান বা ভবনের ওপর দাঁড়িয়ে নামাজ আদায় করলে কোনো সমস্যা নেই।

যেমন—কেউ যদি মসজিদুল হারামের ছাদে দাঁড়িয়ে, জাবালে আবু কুবাইসের ওপর দাঁড়িয়ে অথবা মসজিদুল হারামের আশপাশের কোনো বহুতল ভবনের ওপরে দাঁড়িয়ে নামাজ আদায় করে, তবে কোনো সমস্যা নেই। ইমাম নববী (রহ.) বলেন, যদি কোনো ব্যক্তি জাবালে আবু কুবাইসের ওপর দাঁড়িয়ে নামাজ আদায় করে, অথবা কাবাঘরের নিকটবর্তী কিন্তু তার চেয়ে উঁচু স্থানে দাঁড়িয়ে নামাজ আদায় করে, তবে তার নামাজ শুদ্ধ হয়ে যাবে। এ বিষয়ে ফিকহের ইমামদের ভেতরে কোনো মতভিন্নতা নেই। কেননা এই ব্যক্তিকে কাবার দিকে ফিরে নামাজ আদায়কারীর অন্তর্ভুক্ত ধরা হবে।

(আল মাজমু : ৩/১৯৮)

আল্লামা বাহুতি (রহ.) বলেন, ‘যদি কোনো ব্যক্তি এমন পাহাড়ের ওপর চড়ে নামাজ আদায় করে, যা বায়তুল্লাহর ছাদ থেকে উঁচু, তবে তার নামাজ শুদ্ধ হবে। কেননা সে কাবাঘরের ওপরের অংশের দিকে ফিরে নামাজ আদায় করেছে বলে ধরে নেওয়া হবে। এমনিভাবে কেউ যদি মাটির অভ্যন্তরে এমন স্থানে নামাজ পড়ে যা কাবাঘরের চেয়ে উঁচু হয় সেখানেও নামাজ শুদ্ধ হবে। এখানে মূল উদ্দেশ্য হলো কাবাঘরের দিকে ফেরা। তার দেয়াল উদ্দেশ্য নয়। (কাশশাফুল কিনা : ১/৩০০)

আর এ কারণেই উড়োজাহাজে নামাজ আদায় করা শুদ্ধ।

আল্লাহ সব বিষয়ে সবচেয়ে ভালো জানেন।

বিডি প্রতিদিন