সিলেটে দ্বিতীয় দিনেও জমজমাট ব্যাট-বলের লড়াই

প্রকাশিত: ৮:৫৬ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ১২, ২০২৪

সিলেটে দ্বিতীয় দিনেও জমজমাট ব্যাট-বলের লড়াই

সিলেটে দ্বিতীয় দিনেও জমজমাট ব্যাট-বলের লড়াই

 

নিজস্ব প্রতিবেদক

 

সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এনসিএল টি-টোয়েন্টির ২য় দিনে মোট চারটি খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রতিটি ম্যাচে হয়েছে ব্যাটে-বলে রোমাঞ্চকর লড়াই। তবে গতকাল খুলনা-রাজশাহী ম্যাচের পর আজও আলোকস্বল্পতায় ডিএলএস মেথডে নিষ্পত্তি হয়েছে রংপুর-ঢাকার ম্যাচও। রংপুরের দেওয়া ১৪১ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ঢাকা ১৭ ওভারে ৯ উইকেটে ১১২ রান তোলার পর আলোকস্বল্পতায় আর খেলা চালানো সম্ভব হয়নি। ডিএলএস মেথডে ২১ রানে জিতেছে রংপুর।

সিলেটের বিপক্ষে ২০৬ রান তাড়া করে ম্যাচ জেতা ঢাকা বিভাগ আজ ছিল ব্যর্থ। ৭৫ রানের মধ্যেই হারায় প্রথম পাঁচ ব্যাটারকে। মোহাম্মদ রিজওয়ানের বোলিং তোপে একে একে ফিরেছেন ঢাকা অধিনায়ক সাইফ হাসান, আরিফুল ইসলাম, মাহিদুল অংকনরা। চার ওভার বল করে একাই চার উইকেট নেন ডানহাতি পেসার রিজওয়ান। ঢাকার পক্ষে দলীয় সর্বোচ্চ ১৮ রানের ইনিংস খেলেছেন আরাফাত সানি জুনিয়র।

এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নামা রংপুরের শুরুটাও ভালো হয়নি। সব মিলিয়ে পাঁচ উইকেটে ১৪০ রান তোলে দলটি।

এদিকে দলকে খাদের কিনার থেকে টেনে নায়ক হওয়ার খুব কাছে ছিলেন ফরহাদ রেজা। টেল এন্ডারদের নিয়ে অবিশ্বাস্য এক জয়ের কিনারে গিয়ে শেষ পর্যন্ত আক্ষেপে পুড়লেন তিনি। শেষ ওভারের রোমাঞ্চে ম্যাচ জিতে নিল ঢাকা মেট্রো।

সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের মূল মাঠের দ্বিতীয় ম্যাচে মেট্রো জিতেছে ৫ রানে। আগে ব্যাট করে ১৬২ রান করেছিলো মেট্রো। রান তাড়ায় এক পর্যায়ে ৮৬ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে বড় হারের দিকেই ছিল রাজশাহী বিভাগ। সেখান থেকে চার-ছক্কার ফোয়ারায় ম্যাচের ছবি বদলে দেন ফরহাদ।

অভিজ্ঞ এই অলরাউন্ডার শেষ ওভারে ক্যাচ দিয়ে ফেরার আগে ৩৫ বলে ৭ চার, ৩ ছক্কায় করেন ৬০ রান। ফরহাদ ছাড়া তাদের ইনিংসে বলার মতন আর রান পেয়েছেন কেবল হাবিবুর রহমান সোহান, এই ওপেনার ২৩ বলে করেন ৩৩ রান।

দিনের অন্য দুই ম্যাচে কুয়াশার কারণে দেরিতে শুরু হওয়ায় ১৫ ওভার খেলা হয় সিলেট-চট্টগ্রামর ম্যাচ। সাত মাস পর প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক ক্রিকেট ফিরে গতকাল রান না পেলেও বৃহস্পতিবার প্রথমে ব্যাট করতে নেমে তামিম ইকবালের ৩৩ বলে খেলা ৬৫ রানের ইনিংস চট্টগ্রামকে ১৪৫ রান এনে দেয়। তামিমের পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৯ রান আরেক ওপেনার মাহমুদুল হাসানের। সিলেটের পেসার খালেদ আহমেদ ৩ ওভারে ১৯ রান দিয়ে নেন ৪ উইকেট।

রান তাড়ায় ১৪.২ ওভারে ১৩৩ রানে অলআউট হয়ে টানা দ্বিতীয় ম্যাচ হারে সিলেট চট্টগ্রামকে প্রথম জয় উপহার দিয়েছে। সিলেটের হয়ে যা করার করেছেন তৌফিক খান। ৩৬ বলেই ৬ ছক্কায় ৭৬ রান করেছেন এই ওপেনার। আগের ম্যাচে ৫২ বলে সেঞ্চুরি করা জিশান আলম আজ ফিরেছেন মুখোমুখি হওয়া প্রথম বলেই।

অপর ম্যাচে ১৩১ রানের লক্ষ্যে ১৯ ওভারে ৬ উইকেটে ১২২ রান তুলে শেষ ওভারটা শুরু করে বরিশাল। জাতীয় ক্রিকেট লিগের টি-টোয়েন্টি সংস্করণে আজ খুলনার মেহেদী হাসান রানার করা ওভারের প্রথম ৩ বলে ৬ রান তুলে নেন বরিশালের কামরুল ইসলাম ও মঈন খান। সমীকরণটা তখন ৩ বলে ৩ রানের। কিন্তু এরপর যা হলো সেটির কোনো ব্যাখ্যা নেই।

ওই ৩ রান আর নিতে পারেনি বরিশাল। এরপর ৩ উইকেট হারিয়ে অবিশ্বাস্যভাবে হেরেছে ১ রানে।

৯ উইকেটে ১২৯ রান তুলে ১ রানে হারা বরিশাল ৬ রানে হারিয়েছিল ৫ উইকেট। এরপর ওপেনার আবদুল মজিদ (৫৩ বলে ৫১) মঈন খানকে (২৭ বলে অপরাজিত ৪৩) নিয়ে ষষ্ঠ উইকেটে ৪৭ রান যোগ তরেন। ১৯তম ওভারে মজিদ ফেরার পর শেষ ওভারে রানআউটের ওই মচ্ছব।

এর আগে খুলনা ১৩০ করে ৯ উইকেট হারিয়ে। ৩৫ বলে সর্বোচ্চ ৩৯ রান করেন নুরুল। বরিশালের পেসার কামরুল ৪ ওভারে ২৩ রান দিয়ে নেন ৪ উইকেট। দ্বিতীয় ম্যাচে প্রথম জয় পেল খুলনা, বরিশাল হারল দুই ম্যাচেই।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ