এমসি কলেজ ছাত্রকে হত্যাচেষ্টা: আরও ৮ আসামির জামিন নামঞ্জুর

প্রকাশিত: ৬:৫২ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ১৯, ২০২১

এমসি কলেজ ছাত্রকে হত্যাচেষ্টা: আরও ৮ আসামির জামিন নামঞ্জুর

নিজস্ব প্রতিবেদক : সিলেট এমসি কলেজ ছাত্র অপহরণ-হত্যাচেষ্টা মামলায় আরো ৮ আসামির জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৯ জানুয়ারি) সিলেট মেট্টোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ৩য় আদালতে হাজির হয়ে এই ৮ আসামি জামিন আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক শারমিনা সুলতানা নীলা তাদের জামিন নামঞ্জুর করে তাদেরকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

জামিন নামঞ্জুর হওয়া আসামিরা হলেন- আফতাব উদ্দিন (৪২), বশির আহমদ (৪২), ইছমত আলী (৫৫), সুনান (৫০), রাজা মিয়া (৫৫), নুর মিয়া (৬০), আইনুল হক (৫৫), সুরুজ আলী (৫৭)।

মামলায় বাদী পক্ষের আইনজীবী আকমল আলী বলেন, জামিন নামঞ্জুর হওয়া ৮ জন অপহরণ ও হত্যাচেষ্টার হুকুমদাতা হিসেবে মামলায় অভিযুক্ত। তারা দীর্ঘদিন পলাতক ছিলেন। মঙ্গলবার আদালতে হাজির হয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে জামিন আবেদন করলে বিচারক তাদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণ করেন।

এর আগে আরও ৭ আসামি এই মামলায় কারাগারে ছিলেন। তাদের মধ্যে আনিসুর রহমান ও মুহিবুর রহমান ব্যতীত সুবহান মিয়া, রফিকুল ইসলাম মড়ল. আব্দুল খালিক, আব্দুর রহিম বাবু, সিরাজুল ইসলাম সিরাই জামিন নিয়েছেন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, গত ১৬ সেপ্টেম্বর রাত ১০টার দিকে পূর্ব বিরোধের জের ধরে সিলেট এমসি কলেজের বিএসএস ১ম বর্ষের ছাত্র সদর উপজেলার হাটখোলা ইউনিয়নের বড়ফৌদ গ্রামের ফয়জুল হকের ছেলে নজির আহমদ মোজাহিদকে (২৪) অপহরণ করে হত্যাচেষ্টা করা হয়। বড়ফৌদ পশ্চিমপাড়া জামে মসজিদের মক্তবঘর এলাকায় সাজানো সালিশ বৈঠকের আয়োজন করেন প্রতিপক্ষের লোকজন। মোজাহিদকে অপহরণের পর সেখান থেকে রাতে গ্রাম পার করে হাওর এলাকায় নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর হত্যার জন্য মুহিব, আয়নিছ, খালিক নামে ৩ জনের হাতে তুলে দেয় প্রতিপক্ষের লোকজন। তারা মোজাহিদকে স্থানীয় চেঙেরখালের শাখা ভাদেশ্বর নদীর তীরে নিয়ে যায়। তাদের সঙ্গে ছুরি ও বস্তা ছিল। পরে তাকে নদী তীরে নিয়ে হত্যাচেষ্টা করা হলে ওই কলেজ ছাত্র নদীতে ঝাঁপ দিয়ে প্রাণে বেঁচে যান। ঘটনাটি আড়াল করতে ভিকটিমের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে হয়রানির চেষ্টা করা হয় বলেও অভিযোগ রয়েছে।

এ ঘটনায় জালালাবাদ থানায় অপহরণ ও হত্যাচেষ্টার মামলা দায়ের করেন ওই কলেজ ছাত্রের ভাই বশির আহমদ। মামলার সাত জনের নামোল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো ৯/১০ জনকে আসামি করা হয়। গত বছরের ৬ অক্টোবর মামলায় সাত আসামিকে গ্রেফতার করে ২ দিনের রিমাণ্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। এ মামলায় আদালতে ১৪ জনকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র দেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জালালাবাদ থানার এসআই আব্দুল্লাহ আল মামুন। মামলা থেকে জামিন নিতে পলাতক আট আসামি এদিন আদালতে হাজির হন। তবে জামিন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠান আদালতের বিচারক।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

সংবাদ অনুসন্ধান ক্যালেন্ডার

MonTueWedThuFriSatSun
      1
16171819202122
23242526272829
30      
1234567
15161718192021
293031    
       
22232425262728
2930     
       
  12345
2728     
       
28      
       
       
       
1234567
2930     
       

আমাদের ফেইসবুক পেইজ