জলমহালে ‘মগের মুল্লুক’, সিলেটে সংক্ষুব্ধ নাগরিকবন্ধন

প্রকাশিত: ১০:৪১ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ২১, ২০২১

জলমহালে ‘মগের মুল্লুক’, সিলেটে সংক্ষুব্ধ নাগরিকবন্ধন

অনলাইন ডেস্ক
সুনামগঞ্জ-১ আসনের সাংসদ মোয়াজ্জেম হোসেন রতন ও তার ভাইদের হাতে নৃশংসভাবে সুনই নদী মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির নেতা শ্যামাচরণ বর্মণের হত্যার বিচার বিভাগীয় তদন্ত দাবি করেছে সিলেটের সংক্ষুব্ধ নাগরিক আন্দোলন।

বৃহস্পতিবার (২১ জানুয়ারি) বিকাল ৪টায় সিলেট কেন্দ্রীয় শহিদমিনারে জলমহালে মগের মুল্লুকে সংক্ষুব্ধ নাগরিকবন্ধন আয়োজন করে সংগঠনটি। এতে নিহত শ্যামাচরণ বর্মণের ছেলে চন্দন বর্মণ ও ভাই মনীন্দ্র চন্দ্র বর্মন উপস্থিত হয়ে সন্ত্রাস কবলিত হাওরপাড়ের চিত্র তুলে ধরেন।

মুক্তিযোদ্ধা ভবতোষ বর্মণ রানা-এর সভাপতিত্বে কর্মসুচীতে সংহতি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সিলেট মহানগর সভাপতি এডভোকেট মৃত্যুঞ্জয় ধর ভোলা, সম্মিলিত নাট্যপরিষদ সিলেট-এর সভাপতি মিশফাক আহমদ মিশু, সিলেট জেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ছামির মাহমুদ, ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সজল ছত্রী, সাংস্কৃতিক সংগঠক এনামুল মুনির, গণজাগরণ মঞ্চ সিলেটের মুখপাত্র দেবাশীষ দেবু প্রমুখ।

এতে আরো অংশগ্রহন করেন চিত্রশিল্পি সত্যজিত রাজন, মেঠোসুর সম্পাদক বিমান তালুকদার, দুষ্কাল প্রতিরোধে আমরা’র সংগঠক রাজিব রাসেল ও নিরঞ্জন পাল, হাওরপারের ধামাইল-এর সহ-সভাপতি সজল কান্তি সরকার, সুনামগঞ্জের সাবেক ছাত্রনেতা পরিতোষ ঘোষ চৌধুরী, ছাত্রমৈত্রী সিলেট জেলা শাখার সভাপতি মাসুদ রানা চৌধুরী, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) সিলেটের সংগঠক রুবেল মিয়া প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, কালো টাকার প্রভাবে হাওর এলাকাকে নরক বানিয়ে রাখা হয়েছে। কেউ মুখ খুললেই তাকে গুম বা হত্যা করা হচ্ছে। আর এর নেতৃত্ব দিচ্ছে খোদ এলাকার সাংসদ মোয়াজ্জেম হোসেন রতন ও তার ভাই ধর্মপাশা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোজ্জামেল হোসেন রোকন। রোকনের নেতৃত্বেই গত ৭ জানুয়ারি সুনই নদীর জলমহালে সশস্ত্র হামলা চালিয়ে অগ্নিসংযোগ এবং মৎস্যজীবী সমিতির সভাপতির পিতাকে জবাই করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় মামলা নিতেও অপারগতা দেখাচ্ছে পুলিশ।

বক্তারা বলেন, দেশের অগ্রযাত্রার সময়ে এমন দুস্কৃতিকারী একজন সাংসদ সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করছে। তার বিরুদ্ধে, খুন, চাঁদাবাজি, দুর্নীতির একের পর এক অভিযোগ ওঠলেও বাস্তবে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে না।

সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বক্তারা হামলা ও খুনের ঘটনায় সাংসদ ও তার ভাইয়ের বিরুদ্ধে বিচার বিভাগীয় তদন্ত করে এলাকার গরিব জনগণকে মুক্তভাবে বাঁচার সুযোগ করে দিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ