জগন্নাথ হলে সরস্বতী পূজা পরিদর্শনে ঢাবির সাদা দল

প্রকাশিত: ১০:২৫ পূর্বাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ৪, ২০২৫

জগন্নাথ হলে সরস্বতী পূজা পরিদর্শনে ঢাবির সাদা দল

জগন্নাথ হলে সরস্বতী পূজা পরিদর্শনে ঢাবির সাদা দল
অনলাইন ডেস্ক

 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষকদের সংগঠন সাদা দলের নেতৃবৃন্দ হিন্দু সম্প্রদায়ের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব সরস্বতী পূজা উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হল পরিদর্শন করেছেন। সোমবার তারা জগন্নাথ হলের কেন্দ্রীয় পূজামণ্ডপসহ বিভিন্ন বিভাগের উদ্যোগে স্থাপিত পূজামণ্ডপগুলো ঘুরে দেখেন এবং পূজার আয়োজক ও দর্শনার্থীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

জ্ঞান ও বিদ্যার দেবী সরস্বতীর কৃপা লাভের আশায় সনাতন ধর্মাবলম্বীরা পূজার আয়োজন করেন। এই উপলক্ষে জগন্নাথ হল মাঠে ৭১টি মণ্ডপ স্থাপন করা হয়। সাদা দলের নেতারা মণ্ডপ ঘুরে ঘুরে পূজার সার্বিক আয়োজনের প্রশংসা করেন এবং আয়োজকদের ধন্যবাদ জানান।

সাদা দলের নেতারা বলেন, এই উৎসব ঢাবির সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির চমৎকার উদাহরণ। ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে আমরা সবাই এই ধরনের উৎসবের মাধ্যমে ঐক্যবদ্ধ হতে পারি।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাদা দলের আহ্বায়ক অধ্যাপক মোর্শেদ হাসান খান বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাদা দল সবসময় অসম্প্রদায়িক ও ধর্মীয় মূল্যবোধে বিশ্বাসী। তাই, আমাদের শিক্ষার্থীরা সরস্বতী পূজাকে ঘিরে যে আয়োজন করেছে তা দেখতে এসেছি। আমরা চাই শিক্ষার্থীদের এমন আয়োজনের মধ্য দিয়ে গণতন্ত্র ও সম্প্রীতি আজন্ম ঠিকে থাকুক। একটা গণতান্ত্রিক ও অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ বিনির্মাণে আমরা সবসময় শিক্ষার্থীদের পাশে আছি এ বার্তা দিতে আজকের পূজামণ্ডপে এসেছি।

এবার জগন্নাথ হল মাঠে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদ, বিভাগ এবং ইনস্টিটিউটের উদ্যোগে মোট ৭১টি মণ্ডপ তৈরি করা হয়। হল উপাসনালয়ের পাশের পুকুরে একটি মণ্ডপ এবং হল কর্মচারীদের জন্য আরেকটি মণ্ডপ স্থাপন করা হয়। সকাল থেকেই ভক্তদের উপাসনার মাধ্যমে পূজার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। শিক্ষক-শিক্ষার্থী ছাড়াও ঢাকা শহরের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা পূণ্যার্থীদের উপস্থিতিতে মণ্ডপগুলো ছিল জমজমাট।

জগন্নাথ হলের প্রাধ্যক্ষ ও পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি দেবাশীস পাল বলেন, জুলাই বিপ্লবের মধ্য দিয়ে আমরা বৈষম্যহীন ও সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় নিয়েছি। এবারের সরস্বতী পূজা এক ভিন্ন আঙ্গিকে আয়োজন করা হয়েছে।

পূজা উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক মিঠুন কুমার সাহা জানান, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সার্বক্ষণিক তত্ত্বাবধান করেছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা প্রয়োজনীয় সহায়তা দিয়েছে। হল প্রশাসনের পক্ষ থেকে সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই।

বিডিপ্রতিদিন