সিলেট ১৫ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১লা চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৯:৩৪ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ৭, ২০২৫
ভারতে বাড়ির দেয়াল, গাছ থেকে ঝরে পড়ছে তেল!
অনলাইন ডেস্ক
বাড়ির দেয়াল, ছাদ এমনকি ফুল ও বাহারি গাছ থেকে ঝরে পড়ছে তেল! দিন যতো যাচ্ছে ততোই বাড়ছে তেলের পরিমাণ। অথচ সেই তেলের উৎস খুঁজে পেতে কার্যত নাকাল হচ্ছেন গবেষকরা। এমন আজব ঘটনায় ইতোমধ্যেই সোরগোল পড়ে গেছে কলকাতা লাগোয়া ভারতের পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার গড়িয়াতে।
রাজপুর-সোনারপুর পৌরসভার ২৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা রতন সরকার। গত ৫০ বছরেরও বেশি সময় ধরে পরিবার নিয়ে বসবাস করছেন গড়িয়ার ফরতাবাদ এলাকায়। বছরখানেক আগে হঠাৎ করেই বাড়ির ডানদিকের অংশ থেকে তেল বের হতে দেখা যায়। বিষয়টি প্রাথমিকভাবে গুরুত্ব না নিলেও সময় যতো বাড়তে থাকে বাড়ির বিভিন্ন অংশ থেকে তেলের পরিমাণ বাড়তে থাকে।
পরিবারের দাবি দিন যত যাচ্ছে, ততোই বাড়ছে তেলের পরিমাণ। বাড়ির দেয়াল, সানশেড, মেঝে, ফুল বা বাহারি গাছের পাতা-সমস্ত কিছুই কালো তেলচিটে হয়ে পড়েছে। স্বাভাবিকভাবেই কিছুটা হতভম্ভ ও আতঙ্কিত পরিবারের সদস্যরা। যদিও সরকার বাড়ির প্রতিবেশীদের কারো বাড়িতেই এমন কোন ঘটনা ঘটেনি। আবার জিএসআইয়ের গবেষকরা বলছেন এই তেলের উৎস গ্রাউন্ড থেকে নয়। তবে এতো তেল আসছে কোথা থেকে?
সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে শুক্রবারও ওই বাড়িতে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালান ‘জিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া’র (জিএসআই) এক প্রতিনিধি দল। বাড়ির বিভিন্ন অংশ থেকে তেলের নমুনা সংগ্রহ করেন তারা।
জিএসআই’এর ডিরেক্টর সৌরভ খাঁ বলেন, ‘তাদের প্রাথমিকভাবে ধারণা এটি পোড়া ভোজ্য তেল। মাটির নীচের থেকে এই তেল আসার সম্ভাবনা কম। তবে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর আরো বিশদে জানা যাবে।
ওই পরিবারের গৃহিণী, রতন সরকারের স্ত্রী শম্পা সরকার বলেন ‘পুরো বাসা তেলতেলে হয়ে যাচ্ছে। বাড়ির গাছ থেকে দেওয়াল। যত দিন যাচ্ছে তেলের পরিমাণ বাড়ছে। তেলের উৎস জানতে না পারায় আমরা আতঙ্কিত। আগেও জিএসআই’এর গবেষকরা এসে নমুনা সংগ্রহ করেছেন কিন্তু তার চূড়ান্ত রিপোর্ট এখনো আসেনি। আজকেও একটি প্রতিনিধি দল আসেন এবং নমুনা সংগ্রহ করেছেন। যদিও জিএসআই’এর তরফে জানানো হয়েছে এই তেল দাহ্য নয়, আগুন লাগার কোন ভয় নেই। কিন্তু যেভাবে বাড়ির সমস্ত কিছু তৈলাক্ত হচ্ছে তাতে আমি চিন্তায় রয়েছি।
পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে বিশেষ ক্যামেরা লাগানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে জিএসআই’এর তরফ থেকে।
সমস্যার কথা জানানো হয়েছে স্থানীয় পৌরসভাকেও। পৌরসভার আহবানে জিএসআই ছাড়াও বিভিন্ন সময়ে ও এনজিসি (অয়েল এন্ড ন্যাচারাল গ্যাস কর্পোরেশন) এবং যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরাও এসে নমুনা সংগ্রহ করেছেন, পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেছেন। কিন্তু তেল উৎসের সন্ধান এখনও মেলেনি।
বিডি প্রতিদিন
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ নাজমুল কবীর পাভেল
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক : জুমা কবীর মিম
সহ সম্পাদকঃ আরিফ মাহবুব
নির্বাহী সম্পাদকঃ ধ্রুব জ্যোতি দে
ব্যবস্থাপনা সম্পাদকঃ মাহমুদা আক্তার বিউটি
আইটি সম্পাদক : মাসুম আহমদ
উপদেষ্টা সম্পাদক : এ্যাডভোকেট জাহানারা বেগম
ইমেইল: sylnewsbd@gmail.com, pavel.syl@gmail.com
ফেইসবুক পেইজ : Syl News BD
মোবাইলঃ 01712-540420
শ্রীহট্ট মিডিয়া লিমিটেডের একটি প্রতিষ্ঠান।
Design and developed by ওয়েব নেষ্ট বিডি