‘করোনার মূল প্রবাহ জুলাই মাসে’

প্রকাশিত: ৮:৪৯ অপরাহ্ণ, জুন ২৫, ২০২০

‘করোনার মূল প্রবাহ জুলাই মাসে’

অনলাইন ডেস্ক :;

সরকার একটা অন্ধকার ঘরে কালো বিড়াল খুঁজে বেড়াচ্ছে। করোনা সমস্যাটা কীভাবে সমাধান করবে, সেটা তাদের চিন্তার মধ্যে নাই। করোনার মূল প্রবাহ (পিক টাইম) তো আসবে এ মাসে বা তার পরের মাসে। যখন এটা গ্রামগঞ্জে ছড়িয়ে পড়বে। সেজন্য একটা সুস্থ স্বাস্থ্য ব্যবস্থা দরকার।

বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাজধানীর ধানমণ্ডিতে গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালের গেরিলা কমান্ডার মেজর এটিএম হায়দার বীরউত্তম মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন গণস্বাস্থ্যর ট্রাস্টি ও প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।

তিনি বলেন, আপনারা আমার বাজেট সংক্রান্ত লেখাটা পড়েন, তাতে কিছুটা দিকনির্দেশনা আছে। এটা জনগণ দাবি উঠানো ছাড়া, আওয়াজ উঠানো ছাড়া বাংলাদেশে কোনো দিন, স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে তো নয়ই কোনো ক্ষেত্রেই উন্নতি হবে না। সেজন্য আমাদের স্বাস্থ্য আন্দোলনটাকে শক্ত করে গড়ে তুলতে হবে।

ওষুধের খরচের বিষয়ে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ওষুধের খরচের লেখাটা পরিপূর্ণ করতে পারিনি। আজকে ওষুধের দুটো সিস্টেম আছে। একটা আছে ইন্ডিকেটর প্রাইজ, যেটা আমাদের দরবেশ সালমান সাহেব খালেদা জিয়াকে (সাবেক প্রধানমন্ত্রী) পটিয়ে করেছিলেন। সেটাই এখনও বহাল আছে। জাতীয় ওষুধ নীতির নিয়ম বদলালে ওষুধের দাম অর্ধেক হবে।
জাফরুল্লাহ চৌধুরীর করোনাভাইরাস থেকে রোগ মুক্তিতে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ এবং তার চিকিৎসা ব্যয় সম্পর্কে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। তাতে অতিরিক্ত আলোচনা করা হয় ‘করোনা বনাম বিশ্ব পুঁজিবাজার ২০২০-২১ বাংলাদেশ প্রেক্ষাপট’ বিষয়ে। এময় তার চিকিৎসক ডা. মামুন মোস্তাফি বলেন, গ্রামের একজন মানুষ ও কৃষক যে সেবা নিতে পারেন না তিনি তা গ্রহন করেন না। ওনার করোনা বিজয়ী হওয়ার পেছনে সবচেয়ে বড় হলো তার মনবোল। জাফরুল্লাহ চৌধুরীর করোনা নেগেটিভ হলেও বুকের ৮০ শতাংশ নিমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা ঢাকা মেডিকেলে তার জন্য কেবিন রেডি করেছিলাম। কিন্তু তিনি বলে দিয়েছেন ওখানে থেকে আমার গ্রামের একজন মানুষ চিকিৎসা নিতে পারবে না, আমিও নিবো না। গ্রামের কোন মানুষের এখানে থেকে মৃত্যু হলে আমারও হবে।

ডা. জাফরুল্লাহ তার ৩৫ বছরের চিকিৎসা জীবনে সবচেয়ে ডিফিকাল্ট পেশেন্ট উল্লেখ করে ডা. মোস্তাফি বলেন, আমি তার চিকিৎসা করার সূযোগ পেয়ে নিজেকে ভাগ্যবান মনে করেছি। ডায়লোসিস রোগিদের করোনা হলে চিকিৎসা দেওয়ার মতো হসপিটাল বাংলাদেশে নেই জানিয়ে তিনি বলেন, তবে এখানে বড় ভাই ডাইলোসেস রোগীদের করোনা চিকিৎসার জন্য আইসিইউসহ সম্পূর্ণ সুযোগসুবিধা সম্পন্ন একটি ইউনিট তৈরী করেছেন।
বাংলাদেশের সাধারন মানুষের সঙ্গে যে ডা জাফরুল্লাহর যে একাত্মবোধ তা আর কারো মাঝে দেখেন নি উল্লেখ করে ডা. মোস্তাফি আরো বলেন, তার প্রতি দেশের মানুষের যে ভালোবাসা ছিলো তা সোশ্যাল মিডিয়াতে ঢুকলে দেখা যায়। প্রতিটা মানুষের দোয়া ছিলো আল্লাহ তুমি এই মানুষটাকে বাঁচিয়ে রাখো।

এসময় ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, সম্ভবত আমি বাংলাদেশের সবচেয়ে ভাগ্যবান করোনা রোগী। সবাইকে জানাই আমার এবং গণস্বাস্থ্য পরিবারের অফুরন্ত কৃতজ্ঞতা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা আমার দ্রুত রোগ মুক্তিতে সহায়ক হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

এসময় বক্তব্য রাখেন- গণস্বাস্থ্য মেডিকেল কলেজের ভাইসপ্রিন্সিপাল অধ্যাপক মুহিব উল্লাহ্ খোন্দকার, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, অনলাইন ভিডিও কনফারেন্সে বক্তব্য রাখেন বিনায়ক সেন, অধ্যাপিকা দিলারা চৌধুরী, অধ্যাপক আসিফ নজরুল, সৈয়দা রিজাওয়ানা হাসান, জুনায়েদ সাকী, ভিপি নূর। শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন মুক্তিযোদ্ধা সাদেক খান। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের দপ্তর প্রধান জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু।

সংবাদ অনুসন্ধান ক্যালেন্ডার

MonTueWedThuFriSatSun
    123
252627282930 
       
  12345
2728     
       
28      
       
       
       
1234567
2930     
       

আমাদের ফেইসবুক পেইজ