আনন্দলোকের বর্ষবরণ উৎসব ১৪৩২ উদযাপন

প্রকাশিত: ১০:৫৯ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ১৪, ২০২৫

আনন্দলোকের বর্ষবরণ উৎসব ১৪৩২ উদযাপন

আনন্দলোকের বর্ষবরণ উৎসব ১৪৩২ উদযাপন

সংবাদ বিজ্ঞপ্তি

 

সংগীত-নৃত্যগীতের মধ্য দিয়ে বাংলা নববর্ষ ১৪৩২-কে বরণ করছে রবীন্দ্রসংগীত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান “আনন্দলোক”। সোমবার সকালে সিলেটের নগরীর কেওয়াপাড়াস্থ শ্রীহট্ট সংস্কৃত কলেজ প্রাঙ্গণে আনন্দলোকের ঐতিহ্যবাহী ‘বর্ষবরণ উৎসব ১৪৩২’ শুভ উদ্বোধন করেন বিশিষ্ট সমাজসেবী জ্যোর্তিময় সিংহ মজুমদার।
তিনি বলেন, পহেলা বৈশাখ আমাদের জীবনে অবিচ্ছেদ্য অংশ। নববর্ষ আমাদের দেশপ্রেমের দীক্ষা দেয়। আপন সাহিত্য-সংস্কৃতি নিরন্তর চর্চার মাধ্যমে একটি অসাম্প্রদায়িক, প্রগতিশীল, কল্যাণকামী বাংলাদেশ গড়তে আমাদের সবাইকে একসাথে কাজ করতে হবে।

সম্মেলক কণ্ঠে ‘এসো হে বৈশাখ, এসো এসো’ গানটির মধ্য দিয়ে শুরু হয়ে শিল্পী-শিক্ষার্থীরা একে একে পরিবেশন করেন ‘ধ্বনিল আহবান মধুর স্বরে’,‘জয় হোক জয় হোক’, ‘বৈশাখ হে মৌনি তাপস’, ‘ তোমার পতাকা যারে দাও’, ‘আজ বাংলাদেশের হৃদয় হত ‘, ‘বুক বেঁধে তুই দাঁড়া দেখি’ গানগুলো। আনন্দলোকের পরিচালক বিশিষ্ট রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী রানা কুমার সিনহার পরিচালনায় একক কণ্ঠে রবীন্দ্রসংগীত নিবেদন করেন বিজয় দাশ, রুবি বেগম, সংহিতা দেবী,পল্লবী চক্রবর্তী, বিশালাক্ষী রায় নদী, সুমা রায় চৌধুরী।
অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত শিল্পী হিসেবে অংশ নেন বিশিষ্ট নজরুল সংগীত শিল্পী হিমাংশু বিশ্বাস, প্রতীক এন্দ, অনিমেষ বিজয় চৌধুরী।
উৎসবে নববর্ষের শুভেচ্ছাজ্ঞাপন করেন সিসিকের সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, অধ্যাপক হিমাদ্রী শেখর রায়, শিল্পকলা একাডেমী কেন্দ্রীয় পরিষদের সদস্য শামসুল বাসিত শেরো প্রমুখ।

আনন্দলোকের শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি উৎসবে সংগীত-নৃত্য-আবৃত্তিতে অংশ নেয়- বাংলাদেশ রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী সংস্থা, গীতবিতান বাংলাদেশ, জাতীয় রবীন্দ্রসংগীত সম্মিলন পরিষদ, নজরুল সংগীত শিল্পী পরিষদ, সিলেট, নৃত্যশৈলী, সিথিকণ্ঠ নৃত্যাঙ্গন, সুরাঞ্জলি সহ আনন্দলোকের তবলা বিভাগের শিক্ষার্থীরা। পুরো অনুষ্ঠানে যন্ত্রাণুষঙ্গে ছিলেন কী-বোর্ডে সুদীপ চক্রবর্তী, প্যাডে- জয় কর্মকার, তবলায় তাওরেম রাতুল।