সিলেট রুটে বগি সংকট, রোজ লোকসান গুনছে রেলওয়ে

প্রকাশিত: ৭:০৪ অপরাহ্ণ, জুন ১২, ২০২৫

সিলেট রুটে বগি সংকট, রোজ লোকসান গুনছে রেলওয়ে

সিলেট রুটে বগি সংকট, রোজ লোকসান গুনছে রেলওয়ে

 

নিজস্ব প্রতিবেদক

সিলেট-ঢাকা ও সিলেট-চট্টগ্রাম রুটে যাত্রী সংখ্যা বাড়লেও কাটেনি আন্তঃনগর ট্রেনের বগি সংকট। ফলে প্রতিদিনই টিকিট সংকটে পড়ছেন যাত্রীরা, আর প্রতিটি ট্রিপে রেলওয়েকে গুনতে হচ্ছে অন্তত দুই লাখ টাকার লোকসান।

 

এমন অবস্থায় বছরের পর বছর ধরে রেলের লোকসান কাটিয়ে ওঠাও সম্ভব হচ্ছে না। যাত্রীদের দাবি চাহিদা অনুযায়ী দ্রুত বাড়ানো হোক বগির সংখ্যা। যদিও, কর্তৃপক্ষ বলছে সমস্যা নিরসনে কাজ করছে রেলওয়ে বিভাগ।

 

প্রবাসী ও পর্যটকের ভিড়, পাশাপাশি সিলেট অঞ্চলের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির কারণে এ অঞ্চলে রেলভ্রমণ ক্রমেই জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। সড়কপথের দুরবস্থার কারণেও রেল এখন অনেকের প্রথম পছন্দ। কিন্তু ইঞ্জিনের সক্ষমতা থাকলেও চলছে না পর্যাপ্ত বগি নিয়ে ট্রেন। ফলে চাপ থাকা সত্ত্বেও অনেকে টিকিট পাচ্ছেন না।

বগি সংকট নিয়ে ক্ষোভ জানাচ্ছেন যাত্রীরাও। যাত্রীদের অভিযোগ, চাহিদা থাকা সত্ত্বেও কাঙ্খিত টিকিট পাওয়া যাচ্ছে না। প্রবাসী অধ্যুষিত সিলেট অঞ্চলের রেলওয়ে খাতকে সবসময় পিছিয়ে রাখা হয়। বিগত দিনগুলোতে কোন উন্নতির ছোঁয়া লাগেনি। তাদের মতে, এই অঞ্চলের যাত্রীচাহিদা বিবেচনায় ট্রেনে বগি বাড়ানো সময়ের দাবি।

সিলেট রেলওয়ে স্টেশন সূত্র জানায়, সিলেট-ঢাকা ও সিলেট-চট্টগ্রাম রুটে চলাচলকারী ৬টি আন্তঃনগর ট্রেনেই বগির সংখ্যা গড়ে ১৩ থেকে ১৪টি। অথচ, এসব রুটে ব্যবহৃত ইঞ্জিন ২২টি বগি টানার সক্ষমতা রাখে।

 

 

রেলওয়ের হিসেবে, সিলেট থেকে একেকটি ট্রিপে খরচ হয় প্রায় ৭ লাখ টাকা, যেখানে টিকিট বিক্রি থেকে আয় হয় সর্বোচ্চ ৫ লাখ। পর্যাপ্ত বগি সংযুক্ত করা গেলে ওই লোকসান পুষিয়ে বাড়তি আয়ের সুযোগ রয়েছে বলেই মনে করেন রেল কর্মকর্তারা।

 

 

সিলেট রেলওয়ে স্টেশনের ম্যানেজার নুরুল ইসলাম বলেন, “টিকিটের চাহিদা রয়েছে প্রচুর, কিন্তু বগির অভাবে আমরা সেই চাহিদা পূরণ করতে পারছি না। ফলে রাজস্ব ক্ষতির মুখে পড়ছে রেলওয়ে। পর্যাপ্ত বগি যুক্ত করা গেলে প্রতি ট্রিপেই দ্বিগুণ আয় করা সম্ভব।”

 

 

তবে সমস্যার সমাধানে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানান এই কর্মকর্তা। তার ভাষ্য, ভারত ও ইন্দোনেশিয়া থেকে নতুন বগি সংগ্রহের প্রক্রিয়া চলছে। তা বাস্তবায়িত হলে সংকট অনেকটাই কমবে।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ