ছাতকে বন্যায় লাখো মানুষ পানিবন্দি

প্রকাশিত: ৫:০২ অপরাহ্ণ, জুন ২৭, ২০২০

ছাতকে বন্যায় লাখো মানুষ পানিবন্দি

ছাতক (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি ::

সুনামগঞ্জ জেলার ছাতকে গত তিনদিনের টানা বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে বন্যা দেখা দিয়েছে। উপজেলার ৩টি নদী, খাল-বিল ও হাওরগুলোতে পানি বৃদ্ধির ফলে ১৩টি ইউনিয়নের প্রায় লাখো মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের বরাত দিয়ে সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ জানান, জেলায় ২৯৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে এবং সুরমা নদীর পানি বিপদ সীমার ৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে ছাতক-সিলেটের মধ্যে সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। আকস্মিক বন্যায় রোপা আমন ও বীজতলা ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

আমনের বীজতলা হরিয়ে এখন কৃষকরা দিশেহারা। অব্যাহত পানি বৃদ্ধির কারণে প্রতিদিনই নতুন-নতুন এলাকা প্লাবিত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

ইতোমধ্যে উপজেলার সদরের সঙ্গে গ্রামাঞ্চলের সড়ক যোগাযোগ অনেক স্থানে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। বিভিন্ন গ্রামীণ কাচা রাস্তা-ঘাট, হাট-বাজার ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পানি উঠার খবর পাওয়া গেছে।

মানুষের স্বাভাবিক জীবন যাত্রায় দেখা দিয়েছে চরম বিপর্যয়। ফলে হাট-বাজার ও ব্যবসা-বাণিজ্যে পড়েছে নেতিবাচক প্রভাব। তাছাড়া হাওর-বিলসহ সর্বত্র ঢলের পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় গো-খাদ্যের অভাবে গবাধি পশু নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছেন বানবাসি লোকজন।

গোবিন্দগঞ্জ- ছাতক সড়কের কয়েকটি স্থানে পানির নিচে তলিয়ে গেছে। সড়কের কোথায় কিছু পানি উঠার খবর পাওয়া গেছে।

উপজেলার ইসলামপুর, ছাতক সদর, নোয়ারাই, কালারুকা, চরমহল্লা, জাউয়াবাজার, ভাতগাঁও, দক্ষিণ খুরমা, উত্তর খুরমা, গোবিন্দগঞ্জ-সৈদরগাঁও, ছৈলা-আফজলাবাদ, সিংচাপইড় ও দোলারবাজার ইউনিয়নের একাধিক স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গত ৩দিনের টানা বর্ষণে ইতিমধ্যেই উপজেলার প্রায় অধিকাংশ গ্রামের মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।

উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়ন সব চেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে। এ ইউনিয়নের প্রায় ৮০ ভাগ লোকজন এখন পানিবন্ধি রয়েছে।

অব্যাহত বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে সুরমা, চেলা ও পিয়াইন নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে।

উপজেলা কৃষি কর্মকতা তৌহিদুল হোসেন খাঁন জানান, উপজেলার চলতি বছরে ৫০ হেক্টর জমিতে আমন, আউল ৮০ হেক্টর, ২০ হেক্টর চারা রোপন করা হয়। এর মধ্যে পাহাড়ি ঢলে বেশির ভাগ জমির চারা পানিতে ডুবে আছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ গোলাম কবির বলেন, বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলায় জেলা প্রশাসনের নির্দেশে উপজেলা বন্যা দুর্গতদের সঙ্গে সার্বক্ষনিক যোগাযোগের জন্য কন্ট্রোল রোম খোলা হয়েছে। স্থানীয় সকল ইউপি চেয়ারম্যানদের বন্যার পানিতে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরি করতে বলা হয়েছে।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

সংবাদ অনুসন্ধান ক্যালেন্ডার

MonTueWedThuFriSatSun
    123
252627282930 
       
  12345
2728     
       
28      
       
       
       
1234567
2930     
       

আমাদের ফেইসবুক পেইজ