চিকিৎসা, সচেতনতা, আর্থিক ও শিক্ষামূলক সহায়তা চা বাগানে কুষ্ঠ আক্রান্ত পরিবারের কল্যাণে নানা উদ্যোগ

প্রকাশিত: ৭:৫২ অপরাহ্ণ, জুন ২৭, ২০২০

চিকিৎসা, সচেতনতা, আর্থিক ও শিক্ষামূলক সহায়তা চা বাগানে কুষ্ঠ আক্রান্ত পরিবারের কল্যাণে নানা উদ্যোগ

স্বপন দেব, মৌলভীবাজার প্রতিনিধি:
চা শ্রমিক জনগোষ্ঠির মধ্যে কুষ্ঠ ও যক্ষ্মা রোগে আক্রান্তদের জন্যে চিকিৎসা সেবা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে হীড বাংলাদেশের কুষ্ঠ ও যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ বিভাগ। সম্প্রতি করোনা মহামারি দেখা দেয়ায় চা শ্রমিক জনগোষ্ঠির কুষ্ঠ আক্রান্ত পরিবারের জন্য চিকিৎসা, স্বাস্থ্য সচেতনতা, আর্থিক সহায়তা প্রদান ছাড়াও শিক্ষামুলক সহায়তা প্রদানের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে হীড বাংলাদেশের কুষ্ঠ নিয়ন্ত্রণ বিভাগ।
হীড বাংলাদেশ কমলগঞ্জ এর কুষ্ঠ নিয়ন্ত্রণ বিভাগ ও যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচী সূত্রে জানা যায়, সিলেট বিভাগের চা বাগানে ২০১৯ সনে কুষ্ঠ রোগে আক্রান্ত ছিলেন ৩৬৪ জন। ২০২০ সনের জানুয়ারীতে কুষ্ঠ রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ২৫ জন। সিলেট বিভাগের চার জেলায় গত বছরে যক্ষ্মা আক্রান্ত ১২৬ শিশুসহ ৩২৫১ জন রোগী রয়েছে। এদের চিকিৎসা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে হীড বাংলাদেশের সংশ্লিষ্ট বিভাগ। তবে বৈশ্বিক করোনা মহামারি দেখা দেয়ার পর তাদের কুষ্ঠ নিয়ন্ত্রণ বিভাগ ২৯৭ পরিবারকে মাস্ক ও ডেটল সাবান বিতরণ, ৪৮০ জন কুষ্ঠ পরিবার ছেলে মেয়েদেরকে নগদ ৫০০ টাকা হারে করোনা সহায়তা প্রদান করে। চা জনগোষ্ঠির পঙ্গুত্ব নিরসন, সঠিক চিকিৎসা ও করোনা ভাইরাস সচেতনতা প্রদানে ১০ থেকে ১৫ সদস্যের কুষ্ঠ স্বাবলম্বী ৫৪টি লে সভার মাধ্যমে প্রতিরোধ শিক্ষা প্রান করেছে। এসব লের সস্যদের ঋণ ও ব্যক্তিগত সুবিধার জন্যে ১৬টি লকে ৫৪ হাজার টাকা গ্রুফ ফান্ড হিসাবে সুবিধা প্রান, ৭ জন পঙ্গু কুষ্ঠ রোগীকে সরকারি সহায়তা বিষয়ক অনুদানের ব্যবস্থা, লিফলেট বিতরণ, বিগত ২৭ জানুয়ারী মৌলভীবাজার, সিলেট ও হবিগঞ্জে কুষ্ঠ দিবস পালন করা হয়।
এছাড়া ১০টি চা বাগানের প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও কলেজ পর্যায়ে কুষ্ঠ, যক্ষ্মা, হতদরিদ্র, পঙ্গু পরিবারের ১৪০ জন ছাত্রছাত্রীকে প্রাথমিক পর্যায়ে মাথাপিছু বছরে ৪ হাজার, মাধ্যমিক পর্যায়ে ৮ হাজার ও কলেজ পর্যায়ে ১৫ হাজার টাকা করে শিক্ষামূলক সহায়তা প্রদানের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।
কমলগঞ্জে হীড বাংলাদেশ এর কুষ্ঠ নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পের কুষ্ঠ প্রকল্প ইনচার্জ পরেশ চন্দ্র দেবনাথ বলেন, এবছর করোনার কারণে মার্চ থেকে কার্যক্রম সম্ভব হয়নি। অন্যথায় আরও রোগী পাওয়া যেত। তবে করোনা সংক্রমণ রোধে ব্যাপক সচেতনতা, কুষ্ঠ চিকিৎসা, আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। ১০টি চা বাগানে অসুস্থ ও হতদরিদ্র ১৪০ জন শিক্ষার্থীকে শিক্ষামূলক সহায়তা প্রদান করা হবে।
মৌলভীবাজারে ডিজিটাল মেলা উদযাপন উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলন ও সেমিনার
স্বপন দেব,মৌলভীবাজার প্রতিনিধি :: মৌলভীবাজারে অনলাইনে ডিজিটাল মেলা-২০২০ উদযাপন উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলন ও সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে শনিবার ২৭ জুন সকাল ১১টায়। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ( সার্বিক ও আইসিটি) মোঃ মামুনুর রশীদ এর সভাপতিত্বে ও প্রেগ্রামার, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তর, মৌলভীবাজার ইঞ্জি: আবু কাউসার এর সঞ্চালনায় আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেণ- মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসক নাজিয়া শিরিন।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তর, এটুআইন এবং জেলা প্রশাসন এর আয়োজনে আলোচক হিসাবে উপস্থিত ছিলেন- মৌলভীবাজার পুলিশ সুপার পিপিএম (বার) ফারুক আহমেদ, মৌলভীবাজার সিভিল সার্জন ডা. তওহীদ আহমদ, পৌর মেয়র মোঃ ফজলুর রহমান। অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- মৌলভীবাজার প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক পান্না ত্ত, মৌলভীবাজার অনলাইন প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাক মশাহিদ আহমদ, বিটিভি জেলা প্রতিনিধি হাসনাত কামালসহ গন্যমান্য ব্যক্তিগন। তথ্য প্রযুক্তিই নাগরিক সেবা উন্নতকরণে মূল হাতিয়ার শীর্ষক ভিডিও বার্তার মাধ্যমে আলোচনায় প্রায় ৪০জন অংশ গ্রহণ করেন।
জানা গেছে- বর্তমান করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতিতে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের উদ্যোগে ৬৪টি জেলার ডিজিটাল কার্যক্রমকে জাতীয় তথ্য বাতায়নের মাধ্যমে নাগরিকদের কাছে উপস্থাপনের লক্ষ্যে আগামী ২৮-৩০ জুন পর্যন্ত অনলাইনে ডিজিটাল মেলা-২০২০ অনুষ্ঠিত হবে। এবারের মেলায়, প্যাভিলিয়ন- ১- ই-সেবা। বিভিন্ন খাতে (ডিজিটাল প্রশাসন, কৃষি, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ, স্বাস্থ্য, যোগাযোগ, ভূমি- ই-পর্চা ও ই-মিউটেশন, বিআরটিএ, পোস্টাল বিভাগের সার্ভিসসমূহ, ই-পাসপোর্ট, পরিবেশ এবং অন্যান্য সেবা খাত) সরকারি সেবার ডিজিটাল পদ্ধতির বা ই-সেবার স্বচিত্র তথ্য-উপাত্ত আপলোডের মাধ্যমে প্রদর্শন। প্যাভিলিয়ন- ২- ডিজিটাল সেন্টার, পোস্ট ই-সেন্টার, এজেন্ট ব্যাংকিং, রুরাল ই-কমার্স ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানসমূহ। জেলার অধীন এক বা একাধিক ইউনিয়ন ও পৌর ডিজিটাল সেন্টারের সেবা উপস্থাপন করতে হবে।
এজেন্ট ব্যাংকিং এবং রুরাল ই-কমার্স সুবিধা সম্বলিত ডিজিটাল সেন্টার, ডিজিটাল সেন্টারের নারী উদ্যোক্তাদের কার্যক্রম উপস্থাপন। প্যাভিলিয়ন ৩ – শিক্ষা ও কর্মসংস্থান, স্থানীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উদ্ভাবনী উদ্যোগসমূহ, অনলাইন ক্লাস কার্যক্রম, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর, বিসিক, বিএমইটি, কারিগরী শিক্ষা অধিদপ্তর (পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট, টেকনিক্যাল স্কুল এ্যান্ড কলেজ)সহ সরকারের বিভিন্ন ক্ষতা উন্নয়নমূলক প্রতিষ্ঠানের ‘দক্ষতা ও কর্মসংস্থান’ বিষয়ক ইনোভেটিভ উদ্যোগসমূহ যুব সমাজসহ জনসাধারণকে জানানো। প্যাভিলিয়ন- ৪ – বিভিন্ন স্টার্টআপ ও তরুণ উদ্ভাবকরে উদ্যোগ প্রদর্শন। স্থানীয় পর্যায়ের বিভিন্ন উদ্যোগ, বিভিন্ন স্টার্টআপের বিরবণ, স্থানীয় শিক্ষার্থী এবং তরুণ উদ্ভাবকদের উদ্ভাবনী প্রকল্প, স্থানীয় পর্যায়ে নাগরিক সমস্যা সমাধান নিয়ে যে কোন উদ্যোগ কিংবা প্রোটোটাইপ প্রদর্শন করা।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

সংবাদ অনুসন্ধান ক্যালেন্ডার

MonTueWedThuFriSatSun
    123
252627282930 
       
  12345
2728     
       
28      
       
       
       
1234567
2930     
       

আমাদের ফেইসবুক পেইজ