অনলাইন ডেস্ক :: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন জানিয়েছেন, স্ব-শরীরে হাজির না থাকলেও বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে ভিডিও বার্তায় শুভেচ্ছা জানাবে চীনের রাষ্ট্রপ্রধান। তবে দেশটির একটি উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দল আসবে অনুষ্ঠানে অংশ নিতে এবং তাদের সাথে থাকবে বঙ্গবন্ধুর একটি আবক্ষ মূর্তি।
শনিবার পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের তিনি এ সব কথা জানান।
তিনি বলেন, ২০২১ সাল আমাদের জন্য অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি বছর। এ বছর যেমন পূর্ণ হচ্ছে স্বাধীনতার ৫০ বছর তেমনি উদযাপিত হচ্ছে আমাদের জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকীও। একই সাথে এই বছরই আমরা নিম্ন আয়ের দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের পথে যাত্রা করেছি। সব মিলিয়ে এ উদযাপন আমাদের জন্য অত্যন্ত আনন্দের। উদযাপনে অংশ নিতে ইতিমধ্যে বাংলাদেশ সফরের সম্মতি দিয়েছেন বিশ্ব নেতারা। বিশেষ করে সার্ক অন্তর্ভূক্ত প্রায় সবগুলো দেশের নেতাই আসছেন এ উদযাপনে। যা আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলেন, বাংলাদেশের ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশী এবং বিশ্বের সবচেয়ে বড় গণতন্ত্রের দেশ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশ সফরে আসছেন, এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা এবং বড় আনন্দের বিষয়। তার সাথে সাথে আমাদের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর অনুষ্ঠানে যোগ দিতে আরও পাঁচ দেশের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধান ঢাকা সফরে আসছেন। যাদের মধ্যে রয়েছেন মালদ্বীপের রাষ্ট্রপতি ইব্রাহিম মুহাম্মদ সলিহ, শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপক্ষে, নেপালের রাষ্ট্রপতি বিদ্যা দেবী ভান্ডারী ও ভুটানের প্রধানমন্ত্রী লোটে শেরিং ঢাকায় আসার সম্মতি দিয়েছেন। শুধু তাই নয় সরাসরি যোগ দিতে না পারায় চীনের রাষ্ট্রপতি, ফ্রান্সের রাষ্ট্রপতি ও কানাডার প্রধানমন্ত্রী ভিডিও আকারে বক্তব্য পাঠাবেন।
তিনি জানান, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সফরে তার সঙ্গে বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে সম্মত হওয়া আগের ইস্যুগুলোর অগ্রগতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কথা বলতে পারেন। শুধু তাই নয় এ সময় সফরকারী রাষ্ট্রপ্রধানদের সঙ্গে অনেকগুলো চুক্তি হওয়ার কথা রয়েছে বলেও জানান তিনি।