এমকার হোলি উৎসব, সাংস্কৃতিক জাগরণে এগিয়ে যাওয়ার আহ্বান

প্রকাশিত: ৯:১১ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ১, ২০২১

এমকার হোলি উৎসব, সাংস্কৃতিক জাগরণে এগিয়ে যাওয়ার আহ্বান

অনলাইন ডেস্ক

‘দেশে সৃষ্ট উগ্র ধর্মান্ধ গোষ্ঠি আমাদের পেছনের দিকে টেনে ধরেছে। ওই গোষ্ঠি আমাদের দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রতি নষ্ট করে মানুষে মনুষের প্রতি বিভেদ তৈরি করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে আমাদের সাংস্কৃতিক জাগরণের মাধ্যমে ভয়কে জয় করতে হবে। ভয়কে জয় করে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে।’

সিলেট সিটি কর্পোরেশনের সহযোগিতায় সিলেটে একাডেমি ফর মণিপুরী কালচার এন্ড আর্টসের (এমকা) আয়োজিত ‘হোলি উৎসব’ এর আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।

বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে পাঁচটায় সিলেট নগরীর মণিপুরী রাজবাড়ি এলাকার শ্রী শ্রী মহাপ্রভু মণ্ডপে এ আয়োজন হয়। অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী।

অনুষ্ঠানের আয়োজকরা বলেন, করোনা পরিস্থিতির কারণে সীমিত পরিসরে হোলি উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে শুধুমাত্র নিয়ম রক্ষার্থেই এবারের আয়োজন। এর পূর্বে গত বছর আন্তর্জাতিক হোলি উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছিল। আগামীতে করোনা পরিস্থিতি নিরাময় হলে ভবিষ্যতে বড় পরিসরে আয়োজন অনুষ্ঠানের আশাবাদ ব্যক্ত করেন আয়োজকরা।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে নৃত্য পরিবেশন করেন এমকা ও গীত সুধার খুদে শিল্পীরা। উদ্বোধনী পর্ব শেষে আলোচনা সভায় সামান্তা ঘোষের সঞ্চালনায় ও এমকার সভাপতি দিগেন সিংহের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী।

সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন সিলেট সিটি কর্পোরেশনের ১৩ নং ওয়ার্ডের কমিশনার শান্তনু দত্ত সনতু, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য ও সিলেট বিভাগীয় প্রতিনিধি শামসুল আলম সেলিম, বাংলাদেশ মণিপুরী সাহিত্য সংসদের সভাপতি এ কে শেরাম, সিলেট সম্মিলিত নাট্য পরিষদের সভাপতি মিশফাক আহমদ মিশু, সাধারণ সম্পাদক রজত কান্তি গুপ্ত, বাংলাদেশ মণিপুরী সাহিত্য সংসদের উপদেষ্টা ও নাট্যজন এম উত্তম সিংহ রতন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন এমকার সাধারণ সম্পাদক জী শান্তনা দেবী।

সভায় বক্তারা বলেন, মণিপুরী নৃত্য এখন শুধু মণিপুরী সম্প্রদায়ের নয়, বাঙালি জাতী ও সংস্কৃতির ঐতিহ্যে রূপ নিয়েছে। বাঙালির জাতীয় সংস্কৃতিতে যোগ হয়েছে মণিপুরী নৃত্য। মণিপুরী নৃত্য দেশের সীমানা পেড়েয়ি বিশ্বে সুনাম কুড়াচ্ছে। যা বাঙালি জাতীর জন্য গৌরব ও অহংকারের। বাঙালি জাতী গোষ্ঠির সংস্কৃতির সঙ্গে মণিপুরী সংস্কৃতির মেলবন্ধনে আরও সামনে এগিয়ে নিয়ে যাবে।

আলোচনা সভা শেষে হোলি উৎসব উপলক্ষে এমকা, গতী সুধা, নৃত্যশৈলী, ছন্দ নৃত্যালয়ের শিল্পীরা নৃত্য পরিবেশন করেন। এছাড়াও রাতে এমকা ও বহর মণিপুরী পাড়ার নারী শিল্পীরা ধর্মীয় নৃত্য ‘চালি পারেং’ ও ‘হোলি পালা’ অনুষ্ঠিত হয়।