লন্ডনকে পেছনে ফেলে , পর্যটকদের পছন্দের শীর্ষে পর্তুগালের লিসবন

প্রকাশিত: ৬:২৩ অপরাহ্ণ, জুন ৩০, ২০২০

লন্ডনকে পেছনে ফেলে , পর্যটকদের পছন্দের শীর্ষে পর্তুগালের লিসবন

অনলাইন ডেস্ক ::

গত ১ থেকে ১৪ জুনের পর্যটকদের বিমান টিকেট বুকিং এবং হোটেল বুকিংয়ের তথ্য অনুযায়ী বর্তমানে শীর্ষে রয়েছে পর্তুগালের রাজধানী লিসবনে শহর। এর পরবর্তীতে রয়েছে প্যারিস, আমস্টারডাম, এথেন্স, রোম, মাদ্রিদ, ফ্রাঙ্কফুর্ট, ভিয়েনা, বার্সেলোনা এবং লন্ডন। গতকাল ওয়ার্ল্ড ট্যুরিজম এবং ট্রাভেল কাউন্সিলের রিপোর্টে তথ্যটি জানানো হয়েছে।

যদিও গত বছর ২০১৯ সালে একই সময়ে যেখানে লন্ডনে অবস্থান ছিল প্রথম এবং লিসবনের অবস্থান ছিল নবম। ধারণা করা হচ্ছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে বর্ডার কন্ট্রোল এবং ইউরোপের বিভিন্ন দেশে ভ্রমণে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইন নিয়ম আরোপ করার জন্য ভ্রমণকারীদের মধ্যে ভীতির সঞ্চার হয়েছে এবং হয়তোবা এ কারণেই লন্ডন ভ্রমণকারীদের পছন্দের তালিকায় তলানিতে এসে ঠেকেছে।

অপরদিকে ইউরোপ পর্যটকদের আকৃষ্ট করার জন্য ভ্রমণকারীদের জন্য পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে বর্তমান প্রেক্ষাপটে কোভিড-১৯ সম্পর্কিত তথ্য এবং হালনাগাদ স্বাস্থ্যবিধি ও নিয়ম-কানুন সন্নিবেশিত করে রি-ওপেন ওয়েবসাইট চালু করেছে এবং ভ্রমণের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে।

পূর্বের ন্যায় স্বাভাবিক ভ্রমণ নিশ্চিত করার জন্য পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে স্বাস্থ্যবিধি অনুযায়ী প্রস্তুত করা হয়েছে। মোটকথা পর্যটকদের জন্য যা যা প্রয়োজন সব কিছুই করার চেষ্টা করছে।

পর্তুগাল পর্যটকদের স্বাগত জানাতে উন্নত স্বাস্থ্যবিধি এবং সুরক্ষা প্রোটোকল স্থাপনকারী প্রথম দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম এবং সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণের জন্য শীর্ষ পরীক্ষার হার দেশগুলোর মধ্যে একটি।

চলতি জুন মাসে প্রথমার্ধে ইউরোপীয় ইউনিয়নের বিমান টিকেট পূর্বের তুলনায় ৮৪ দশমিক ৪ শতাংশ নেমে গেছে। তবে মে মাসের থেকে ৯৪ দশমিক ৫ শতাংশ পড়ে যাওয়া থেকে প্রায় ১০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।

ওয়ার্ল্ড ট্যুরিজম অ্যান্ড ট্রাভেল কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট এবং সি ইউ গ্লোরিয়া গুয়েভারা এক বিবৃতিতে বলেছেন, পর্তুগাল জনপ্রিয় পর্যটন গন্তব্য হিসেবে ভ্রমণকারীদের আকৃষ্ট করার ক্ষেত্রে সাফল্য এনে দিয়েছে সরকারের নেয়া বেশ কয়েকটি উন্নত স্বাস্থ্য সুরক্ষা ব্যবস্থার বাস্তবায়ন।

তিনি বলেন, নিরাপদ ভ্রমণ নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ এই খাত থেকে সাজানো হয়েছে বৈশ্বিক প্রটোকলের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে। আমরা ওয়ার্ল্ড ট্যুরিজম অ্যান্ড ট্রাভেল কাউন্সিলের ট্রাভেলস স্ট্যাম্পের মাধ্যমে এই প্রচেষ্টাগুলোকে স্বীকৃতি দিতে পেরে আনন্দিত। ভ্রমণ এবং পর্যটন খাতের পুনরুদ্ধারকে উৎসাহিত করার জন্য তথাপি ভ্রমণ বিধিনিষেধ শিথিল করার জন্য ইউরোপকে তিনি ধন্যবাদ জানান।

নিঃসন্দেহে পর্তুগালের পর্যটন খাতের জন্য এটা একটা আশার খবর, যদিও পর্তুগালের রাজধানী লিসবন মেট্রোপলিটন এরিয়াতে সংক্রমণ কিছুটা বেড়ে চলেছে। তবে বর্তমানে সরকারের গৃহীত পদক্ষেপের কারণে গত কয়েক মাসের অভিজ্ঞতা অনুযায়ী আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে তা নিয়ন্ত্রণে আসবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

লেখক: ফরিদ আহমেদ পাটওয়ারি, সমাজকর্মী, ফ্রিল্যান্সার সাংবাদিক ও লেখক, পর্তুগাল থেকে

সংবাদ অনুসন্ধান ক্যালেন্ডার

MonTueWedThuFriSatSun
    123
252627282930 
       
  12345
2728     
       
28      
       
       
       
1234567
2930     
       

আমাদের ফেইসবুক পেইজ