মৌলভীবাজারে প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির প্রায় সাড়ে ৬ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্র

প্রকাশিত: ৭:১৯ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ১৯, ২০২১

মৌলভীবাজারে প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির প্রায় সাড়ে ৬ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্র

স্বপন দেব, নিজস্ব প্রতিবেদক :: মৌলভীবাজার জেলায় ১ হাজার ৪৬৩ জন শিক্ষার্থীর অভিভাবকের মোবাইল অ্যাকাউন্টে আসা উপবৃত্তির ৬ লাখ ৪৩ হাজার ৮০০টাকা কৌশলে হাতিয়ে নিয়েছে একটি প্রতারক চক্র। ফলে হতাশায় দিন কাটছে অভিভাবকদের। স্থানীয় শিক্ষা অফিসগুলো এ ঘটনার কোনো সমাধান দিতে পারেনি। তবে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা পাঠানো হয়েছে বলে জানান।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, সরকার শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের কাছে উপবৃত্তির টাকা সহজে পৌঁছে দেয়ার জন্য ‘নগদ’ এর সঙ্গে চুক্তি করে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্ততর। গত বছরের ডিসেম্বর মাসে এ চুক্তির পর চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত অভিভাবকদের কাছে টাকা পৌছায়। প্রযুক্তি ব্যবহার করে একটি চক্র অনেক অভিভাবকের কাছ থেকে পিনকোড ও পাসওয়ার্ড জেনে নিয়ে কৌশলে টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রযুক্তি ব্যবহার করে স্থানীয় ও রাজধানী ঢাকার একটি চক্র উপবৃত্তির যাবতীয় তথ্য সংগ্রহ করে। তারা সারাদেশে নেটওয়ার্ক তৈরি করে সহজ সরল অভিভাবকদের ম্যাসেজ দিয়ে অভিনব কৌশলে পিনকোড ও পাসওয়ার্ড হ্যাক করে টাকা উত্তোলন করে নিচ্ছে।
মৌলভীবাজারের সাতটি উপজেলা থেকে জালিয়াতি চক্রের শিকার হয়েছেন এমন অভিভাবকদের তালিকা সংগ্রহ করেছে উপজেলা শিক্ষা অফিস।
জেলার ভোক্তভোগী শিক্ষার্থীর অভিভাবকরা জানান, তাদের বলেন, মোবাইল ফোনে টাকার পরিমাণসহ ম্যাসেজ আসার সাথে সাথে অপর প্রান্ত থেকে বলা হয় আপনার উপবৃত্তির টাকা পেতে হলে এক মিনিটের মধ্যে কোড বলুন। নিকটস্থ মোবাইল এজেন্টের কাছে গেলে সাথে সাথে টাকা দিয়ে দেবে। আমরা সেখানে গেলে স্থানীয় এজেন্টের লোক বলে মোবাইলে কোনো টাকা নেই। এমন প্রতারণা করে আমাদের টাকা হাতিয়ে নেয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শামছুর রহমান সোমবার (১৯ এপ্রিল) এ প্রতিবেদককে জানান, হ্যাকাররা জেলার বিভিন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর অভিভাবকদের কৌশলে উপবৃত্তির টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বলে আমরা অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তাৎক্ষনিক প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে জানিয়ে দেয়া হয়েছে। তবে ক্ষতিগ্রস্থরা কোন ক্ষতিপূরণ পাবে কি না তা অধিদপ্তর বলতে পারবে। আমরা এখনো কোন নির্দেশনা পাইনি।
তিনি আরও বলেন, তবে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর অভিভাবকদের বিভিন্ন ভাবে সতর্ক করা হচ্ছে যাতে তারা এধরণের প্রতারণার শিকার না হয়। পরবর্তী টার্মে(জুলাই- সেপ্টেম্বর’২০) উপবৃত্তির টাকা সরকার থেকে ছাড়করণের প্রক্রিয়া শুরু হতে যাচ্ছে।

 

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ