সিলেট-৩ : প্রচারে ব্যস্ত প্রার্থীরা ব্যতিক্রম শমশের জামাল

প্রকাশিত: ৭:১৪ অপরাহ্ণ, মে ২৬, ২০২১

সিলেট-৩ : প্রচারে ব্যস্ত প্রার্থীরা ব্যতিক্রম শমশের জামাল

জুনেদ আহমদ :: সিলেট-৩ (দক্ষিণ সুরমা, ফেঞ্চুগঞ্জ ও বালাগঞ্জ একাংশ) আসনের সদ্য প্রয়াত সংসদ সদস্য মাহমুদ-উস-সামাদ চৌধুরীর মৃত্যুর পর শূন্য ঘোষণা করা হয়। সে প্রেক্ষিতে গত ২৪ মে ভোটের তফসিল ঘোষণা করার কথা থাকলেও তা করা হয়নি। তফসিল ঘোষণা করা হবে হবে আগামী ২ জুন। দিন যতই ঘনিয়ে আসছে প্রার্থীদের প্রচার-প্রচারণা ততই জমে উঠেছে। চায়ের দোকানে আড্ডার ফাঁকে চলছে প্রার্থীদের নিয়ে আলাপ-আলোচনা। পোস্টার, ব‌্যানার, ফেস্টুনে ছেয়ে গেছে পুরো নির্বাচনী এলাকা। কাক ডাকা ভোর থেকে শুরু করে রাত পর্যন্ত নির্বাচনকে সামনে রেখে ব‌্যস্ত সময় পার করছেন প্রার্থীরা। ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে করছেন প্রচার চালাচ্ছেন। দিচ্ছেন নানা প্রতিশ্রুতি। শুধু প্রতিশ্রুতি নয় প্রচারের মাধ্যমে দৃষ্টি আকর্ষণ করার চেষ্টা করছেন দলীয় হাই কমান্ডের।

কিন্তু ডজনখানেক প্রার্থীদের মধ্যে ব্যতিক্রম সিলেট-৩ আসন উপনির্বাচনে নৌকা প্রতীক প্রতাশী ও সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ শমশের জামাল। প্রচারের মধ্যমে নয় তিনি চান কাজের মাধ্যমে মানুষের ভালোবাসা অর্জন করে নিজের যোগ্যতার পরিচয় দেওয়া।

এ বিষয়ে তিনি জানান, পরিবার থেকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারণ করেছি। শৈশব থেকে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে আমি সম্পৃক্ততা। বাবা-মা দুজনই আওয়ামী লীগের রাজনীতির মধ্যদিয়ে সুনাম অর্জন করেছেন। আমিও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ ধারণ করে এগিয়ে যেতে চাই।

তিনি আরও জানান, সিলেট-৩ আসন উপ-নির্বাচনে নৌকার প্রার্থীর জন্য আমার মতামত প্রকাশ করেছি। মানুষের জীবনমান উন্নয়নে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের বিকল্প নেই। আমার দৃঢ় বিশ্বাস জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাকে মনোনয়ন দিবেন। আমি সারাজীবন দলের জন্য কাজ করে যেতে চাই। যদি আমাকে মনোনয়ন না দেওয়া হয় তাহলে যে ব্যক্তিকে = নৌকার মনোনয়ন দেওয়া হবে তার জন্য কাজ করবো। কারণ আমাদের সবারই মনে থাকা উচিৎ “ব্যক্তির চেয়ে দল বড়”।

শমশের জামাল এর রাজনীতি

পারিববারিকভাবে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে দীর্ঘদিন ধরে সক্রিয় ভূমিকা পালন করে আসছেন শমসের জামাল। সবধরনের সংকটে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা অনুযায়ী কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছেন তিনি ও তার পরিবারের বাবা-মাসহ সকল সদস্য।আওয়ামী পরিবারে জন্ম হওয়ার কারনে শৈশব থেকেই জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ ধারণ করেছেন শমসের জামাল। সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের রয়েছে তার সরব উপস্থিতি। ১৯৮৪ সালে সিলেট এম.সি.কলেজে ছাত্রলীগের সাধারণ সদস্য হিসাবে রাজনীতিতে শমসের জামালের পথচলা শুরু।

শিক্ষাজীবন শেষ করে তিনি চাকরি জীবনে প্রবেশ করেন। ওই সময় তাদের বাড়িতে বিএনপি-জামায়াতের মদদে গ্রেনেড হামলার ঘটনা ঘটে। হামলায় শমসের জামালের মা ও সিলেট মহিলা লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি সৈয়দা জেবুন্নেছা হক আহত হন। পরে চাকরি ছেড়ে দিয়ে সিলেটে রাজনীতিতে নেমে পড়েন শমসের জামাল। এখন তিনি রাজনীতির পাশাপাশি ব্যবসাও করছেন। সিলেট চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি’র পরিচালক হিসেবে তিনি দায়িত্বরত রয়েছেন।

শমসের জামালের বড় বোন নাজমা হোসেন যুক্তরাজ্য মহিলা আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়া তার মেজো বোন সালমা সুলতানা সিলেট জেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্বরত আছেন। শমসের জামালের ছোট বোন ফাহিমা সুলতানা বার্মিংহাম মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদে রয়েছেন। এছাড়া ছোট ভাই শমসের রাসেল সিলেট মহানগর বঙ্গবন্ধু শিক্ষা ও গবেষণা কেন্দ্রের সাংগঠনিক সম্পাদক।