বিশ্বনাথে গৃহবধুর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার: পরিবারের দাবি হত্যা

প্রকাশিত: ৯:২৩ অপরাহ্ণ, জুলাই ৩, ২০২০

বিশ্বনাথে গৃহবধুর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার: পরিবারের দাবি হত্যা

বিশ্বনাথ প্রতিনিধি: সিলেটের বিশ্বনাথে এক গৃহবধুর লাশ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। ওই গৃহবধু উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের শেখেরগাঁও গ্রামের সাইদ আলীর পুত্র জামিল আহমদ (২৯) এর স্ত্রী ফাতেমা বেগম (২১)। বৃহস্পতিবার দুপুরে স্বামীর বসত ঘর থেকে তার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে সুরতহাল রিপোর্ট শেষে ময়না তদন্তের জন্য সিলেট ওসমানী হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। ময়না তদন্ত শেষে শুক্রবার বিকেলে লাশ স্বামীর বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানে গ্রামের লোকজন দাফনের সুযোগ দেননি। পরে সন্ধ্যায় স্বামী সিলেট মানিকপীর মাজারের টিলায় নিয়ে লাশ দাফন করেন। ওই গৃহবধুর মৃত্যু নিয়ে উপজেলার সর্বত্র নানা রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে।

এদিকে, তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে ওই গৃহবধুর পরিবারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে। এঘটনায় গৃহবধুর বড় ভাই একই উপজেলার আনরপুর গ্রামের ইলিয়াছ আলীর পুত্র রুবেল আহমদ (২৯) বাদি হয়ে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগে গৃহবধুর স্বামী জামিল আহমদ ও শাশুরি রুকিয়া বেগম (৪৮) কে অভিযুক্ত করা হয়েছে। মেয়ের মৃত্যুতে মা রংমালা বেগম (৪৮) এর কান্নায় আকাশ বাতাস ভারি হয়ে আসছে।

শুধু পরিবারই নয় অনেক সালিশ ব্যাক্তিত্বও এই মৃত্যুকে মেনে নিতে পারছেন না। উপজেলার খাজাঞ্চি ইউনিয়নের তেলীকোনা গ্রামের এক সালিশ ব্যাক্তি ফকির শাহ তোফাজ্জুল ভান্ডারী মর্মাহত হয়ে তার ফেসবুক প্যাজে দুঃখ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন- শশুর সাইদ আলী প্রায় সময় ওই গৃহবধুকে কুপ্রস্তাব দিতেন। এমন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তার স্বামী শশুরকে নিয়ে একাধিকবার বিচার বৈঠকে হয়েছে। সর্বশেষ প্রায় ৬ মাস পূর্বে দৌলতপুর ইউনিয়ন পরিষদেও একটি বৈঠক হয়। ওই বৈঠকে স্বামীর কাছে ২০ হাজার টাকা দেনমোহর সাব্যস্থ্যক্রমে গ্রহবধুকে তার বাবার বাড়িতে ফিরিয়ে দেন তারা। কিন্তু ৪/৫ মাস পূর্বে অনেকটা কৌশলে ওই গৃহবধৃকে তার স্বামী জামিল আহমদ নিয়ে যান। অবশেষে বৃহস্পতিবার স্বামীর বাড়ি থেকে তার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। লাশের সুরতহাল রিপোর্টকারি দারোগা এসআই উসমান গণি বলেন- প্রাথমিকভাবে তার শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। তবে লাশের নাকের বাম দিকে একটু রক্ত গড়িয়ে পড়তে দেখেছেন।