মৌলভীবাজারে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে : স্বাস্থ্যবিধি না মেনে বেপরোয়া চলাফেরাকে দায়ী করছে প্রশাসন

প্রকাশিত: ৬:৩৩ অপরাহ্ণ, জুন ৮, ২০২১

মৌলভীবাজারে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে : স্বাস্থ্যবিধি না মেনে বেপরোয়া চলাফেরাকে দায়ী করছে প্রশাসন

স্বপন দেব, নিজস্ব প্রতিবেদক :: মৌলভীবাজার জেলায় আরোও ১১ জনের শরীরে নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছে। দিন দিনই বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। কিন্তু স্থানীয় জনসাধারণের মধ্যে তার কোন প্রভাব লক্ষ্য করা যাচ্ছেনা। অনেকটা বেপরোয়াভাবেই লোকজন স্বাস্থ্যবিধি না মেনেই চলাফেরা করছেন।
হোটেলে পাশাপাশি বসে খাচ্ছেন, বাজার মার্কেটগুলোতে সুরক্ষা সামগ্রী না পরে বাজার করছেন। অটোরিক্সা কিংবা পাবলিক পরিবহনে সরকারি নির্দেশনা না মেনে চলাফেরা করছেন সবাই। শহর বা গ্রাম সকল স্থানেই একই চিত্র। বিশেষ করে হোটেল রেস্তোরা ও গণ পরিবহনে সামান্যতম স্বাস্থ্যবিধি মানতে দেখা যায়নি কোথাও।
চালক ও হেলপাররা যেমন মাক্স পরছেনা তেমনি যাত্রীরা মাক্স ছাড়াই গাড়ীতে চলাচল করছেন। বিশেষ করে হবিগঞ্জ- সিলেট সড়কে চলাচলকারী বাস, বড়লেখা, কুলাউড়া, শমসেরনগর, শ্রীমঙ্গল সড়কের গণপরিবহনে শুরু থেকেই স্বাস্থ্যবিধি সম্পূর্ণ উপেক্ষা করে সবাই চলাচল করছেন। সাংবাদিকের ক্যামেরা বা পুলিশ দেখলে মুখে মাক্স তুলছেন। ফলে জেলায় মহামারি করোনার বিস্তার ঘটছে দ্রুত।
মৌসুমী ফলের হাটগুলোতে সামান্যতম স্বাস্থ্যবিধি না মেনে শ’শ’ মানুষকে কেনাবেচা করতে দেখা গেছে। শমসেরনগর, ভানুগাছ, শ্রীমঙ্গল, টেংরা বাজার, ব্রাম্মণবাজার, রবির বাজার, জুড়ী ও বড়লেখার বিভিন্ন হাটে দেশের বিভিন্ন এলাকার পাইকার এসে কাঠাল, লেচু, আনারস ট্রাক বোঝাই করে নিয়ে যাচ্ছেন। এসব হাট বাজারে প্রশাসনের নজরদারীও নেই বলে স্থানীয়রা অভিযোগ করেন।
সোমবার (৭ জুন) সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, মৌলভীবাজারের ৬২ জনের নমুনা পরীক্ষা করে নতুন ১১ জন পজিটিভ শনাক্ত হন। শনাক্তের হার ১৭ দশমিক ৭৪ শতাংশ। তবে শারিরীক অবস্থা জটিল না হলে অনেকই করোনা পরীক্ষা করতে আগ্রহ দেখাচ্ছেন না।
এ পর্যন্ত জেলায় করোনাভাইরাসে মোট শনাক্ত ব্যক্তির সংখ্যা ২ হাজার ৫৮৪ জন। আর করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট নিয়ে এখন পর্যন্ত মারা গেছেন ৩০ জন। করোনা উপসর্গ নিয়ে মৃত্যুর সংখ্যা তিন চার গুণ বেশি বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।
মৌলভীবাজারের জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান সাংবাদিকদের বলেন, এধরণের পরিস্থিতিতে মৌলভীবাজার জেলাবাসীকে সরকার ঘোষিত স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাচল করার এবং ঘরের বাইরে বের হলে মাস্ক পরিধানের অনুরোধ জানান। তিনি বলেন প্রতিদিনই জেলার বিভিন্ন স্থানে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হচ্ছে। জনসাধারণের ব্যক্তিগত সচেতনতা ছাড়া প্রশাসনের পক্ষে মহামারি নিয়ন্ত্রণ সম্ভব নয়।

 

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

সংবাদ অনুসন্ধান ক্যালেন্ডার

MonTueWedThuFriSatSun
    123
45678910
11121314151617
18192021222324
252627282930 
       
1234567
15161718192021
293031    
       
22232425262728
2930     
       
  12345
2728     
       
28      
       
       
       
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
2930     
       

আমাদের ফেইসবুক পেইজ