সিলেটে স্ত্রী হত্যা মামলায় কারাগারে স্বামী

প্রকাশিত: ৩:৩৪ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২৪, ২০২০

সিলেটে স্ত্রী হত্যা মামলায় কারাগারে স্বামী

অনলাইন ডেস্ক : অগ্নিদগ্ধ হয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সিলেট কার্যালয়ের কম্পিউটার ডেটা অপারেটর লাকি রানী পালের মৃত্যুর ঘটনায় আদালতে আত্মসমর্পণ করেছেন তার স্বামী হিমাদ্রি পাল। দক্ষিণ সুরমার ধরাধরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হিমাদ্রি পাল বুধবার (২৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সিলেটের জ্যেষ্ঠ জেলা ও দায়রা জজ মো. বজলুর রহমানের আদালতে তিনি আত্মসমর্পণ করেন। আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।

সিলেটের দক্ষিণ সুরমার সেনগ্রামে স্বামীর বাড়ি থেকে গত ৯ আগস্ট রাতে লাকিকে অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পরের দিন মারা যান তিনি। শ্বশুরবাড়ির লোকজন এ ঘটনাকে রান্না করতে গিয়ে কুপির আগুনে দগ্ধ বলে প্রচার করলেও ১৭ আগস্ট লাকির ছোট বোন প্রিয়াঙ্কা পাল বাদী হয়ে সিলেটের মোগলাবাজার থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলায় লাকির স্বামী হিমাদ্রি পাল, দেবর হিমেল পাল, শ্বশুর হলধর চন্দ্র পাল ও শাশুড়ি শিখা রানী পালকে আসামি করা হয়। অপরদিকে লাকির শ্বশুরবাড়ির অভিযোগ, দুর্ঘটনাবশত আগুনে মৃত্যুর পর লাকির বোন প্রিয়াঙ্কা পালের দাবি করা ১০ লাখ টাকা না দেওয়ায় একটি দুর্ঘটনাকে পরিকল্পিত হত্যা দাবি করে ষড়যন্ত্রমূলক সাজানো মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে।

বাদীপক্ষের আইনজীবী জসিম উদ্দিন বলেন, নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করার শর্তে উচ্চ আদালত থেকে জামিনে ছিলেন হিমাদ্রি পাল। ২৭ সেপ্টেম্বরের মধ্যে আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশনা ছিল। বুধবার দুইটার দিকে আদালতে হাজির হলে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

এজাহারের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, লাকিকে তার স্বামী হিমাদ্রি পাল বাবার বাড়ি থেকে ৫০ হাজার টাকা এনে দিতে বলেছিলেন। এই টাকা এনে দিতে অস্বীকৃতি জানানোয় ৯ আগস্ট রাতে রান্নাঘরে নিয়ে লাকির শরীরে পেট্রল ঢেলে আগুন দেওয়া হয়। পরে ঘটনাটিকে রান্না করতে গিয়ে কুপির আগুনে দগ্ধ বলে প্রচার করা হয়।
এদিকে ৬ সেপ্টেম্বর লাকির শ্বশুরবাড়ির লোকজন সংবাদ সম্মেলন করে লাকির মৃত্যু নিছক একটি দুর্ঘটনা বলে দাবি করেন।

তবে ১০ সেপ্টেম্বর পাল্টা একটি সংবাদ সম্মেলন করে লাকির বোন প্রিয়াঙ্কা পাল জানিয়েছিলেন, মামলা হওয়ায় ঘটনাটি ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে লাকির শ্বশুরবাড়ির লোকজন নানা অপপ্রচার চালাচ্ছেন।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও মোগলাবাজার থানার এসআই সমীরণ সিংহ বলেন, মামলার পর থেকে হিমাদ্রি পাল এলাকাছাড়া ছিলেন। পরে তিনিসহ সব আসামি উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়ে এসেছিলেন বলে পুলিশকে জানানো হয়েছিল। এবার হিমাদ্রি পাল নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করলেন। মামলায় অন্য আসামিদের ব্যাপারে খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

সংবাদ অনুসন্ধান ক্যালেন্ডার

MonTueWedThuFriSatSun
  12345
2728     
       
28      
       
       
       
1234567
2930     
       

আমাদের ফেইসবুক পেইজ