লন্ডন বার্মিংহামে সরকারি হাসপাতালে অবদান রাখায় সায়েম জামিলকে সংবর্ধনা

প্রকাশিত: ৮:০৭ অপরাহ্ণ, জুন ২৬, ২০২০

লন্ডন বার্মিংহামে সরকারি হাসপাতালে অবদান রাখায় সায়েম জামিলকে সংবর্ধনা

 বিশ্বনাথের কৃতিসন্তান লন্ডনপ্রবাসী সায়েম জামিল তালুকদার লন্ডন বার্মিংহাম শহরের স্থানীয় একটি সরকারি হাসপাতালে গতকাল সংবর্ধনা প্রদান করা হয়েছে। হাসপাতালে সেবায় কর্মরত ডাক্তার নার্স সহ এই পেশায় জড়িত অন্যান্য সবাইকে রেস্টুরেন্টে থেকে নিজ হাতে রান্না করে খাবার দিয়ে সাহায্য করেছেন করোনা কালীন সময়ে সায়েম জামিল। এতে সরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাদের উপর সন্তুষ্ট হয়ে বিশ্বনাথের কৃতিসন্তান সায়েম জামিল তালুকদারকে সম্মাননা স্বরূপ সংবর্ধনা প্রধান করে। এসময় তাকে সম্মাননা ও সার্টিফিকেট প্রদান করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এছাড়া আরো কয়েক জন কে এই অনুষ্ঠানে সংবর্ধনা প্রধান করা হয়। সায়েম জামিল তালুকদার তিনি দীর্ঘদিন থেকে লন্ডন বার্মিংহাম শহরের বসবাস করে আসছেন। তিনি লন্ডন বার্মিংহাম শহরের স্থানীয় বাঙালী কমিউনিটির সাথে বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড করে অনেক বার প্রশংসিত হয়েছেন। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য তিনি নিজ হাতে রান্না করা খাবার লন্ডন বার্মিংহাম শহরের গভীর রাতে ভাসমান মানুষের মাঝে খাবার বিতরণ করেছেন।বিশেষ ভাবে করোনা কালীন সময়ে দেশে এবং বিদেশে অনেক মানুষদের কে সাহায্য ও সহযোগী করেছেন। এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশে বসবাসরত সায়েম জামিল তালুকদারের আপন ছোট ভাই তরুণ উদ্যোক্তা, নাট্যকার ও অভিনেতা সিলেট ফ্রিডম ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও প্রধান পৃষ্ঠপোষক মো ইমতিয়াজ কামরান তালুকদার বলেন,আমার বড় ভাই অনেক ছোটবেলা থেকেই মানুষকে উপকার করে আসছেন আমার দেখা মতে। উনি আমাদের নিজ এলাকার বিশ্বনাথের ঐতিহ্যবাহী আট নং দশঘর ইউনিয়নের ছয় নং ওয়ার্ডের তালুকদার ফাউন্ডেশন এর মাধ্যমে গরীব অসহায় মানুষদের মাঝে প্রতি বছর সাহায্য ও সহযোগী করে আসছেন। তিনি গরীব অসহায় মানুষের প্রিয় বন্ধু। এদিকে সায়েম জামিল তালুকদারের মাতা বিশিষ্ট সমাজ সেবিকা ও তালুকদার ফাউন্ডেশন প্রতিষ্টাতা সভাপতি শেখ সালহা বেগম বলেন,আমার ছেলে সেই ছোটবেলা থেকে অনেক মেধাবী ও পরোপকারী। আমার ছেলে ছোটবেলা থেকে মাদ্রাসায় পড়াশোনা কালীন সময়ে সে মানুষকে সাহায্য করে আসছে। সে মাদ্রাসা পড়াশোনা করতো,তখন মাদ্রাসা এতিমখানায় ছোট্ট শিশুদের বাসায় রান্না করা ভালো মানের খাবার দেওয়ার জন্য বাসা থেকে টিফিন ক্যারিয়ারে মাধ্যমে তাদেরকে নিয়ে দিয়ে আসতো। তাদের কে অনেক সময় আম,কাঠাল,অন্যানা ফলমুল আমের আচার, শুঁটকির ভর্তা এগুলা তাদের কে দিত।বিশেষ করে রমজান মাসে এতিম শিশুদের ইফতার সামগ্রী ও মসজিদে খাবার দেওয়া তার মধ্যে উল্লেখ্য যোগ্য। আমার সন্তানে সাফল্য অর্জনে আমি অনেক খুশি হয়েছি। আমি চাই আমার ছেলে সায়েম জামিলের মত সকল ছেলেদেরকে এদরনের মানব সেবামূলক কার্যক্ষমে এগিয়ে আসার আহবান জানাই।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

সংবাদ অনুসন্ধান ক্যালেন্ডার

MonTueWedThuFriSatSun
    123
252627282930 
       
  12345
2728     
       
28      
       
       
       
1234567
2930     
       

আমাদের ফেইসবুক পেইজ