সিলেট উন্নয়ন পরিষদের সভা বিমানবন্দর বাইপাস সড়ক চার লেনে করতেই হবে সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগের প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান

প্রকাশিত: ১১:২৩ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ৩, ২০২০

সিলেট উন্নয়ন পরিষদের সভা বিমানবন্দর বাইপাস সড়ক চার লেনে করতেই হবে সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগের প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান
সিলেট কুমারগাঁও-বাদাঘাট-এয়ারপোর্ট বাইপাস সড়ককে চার লেন বাস্তবায়নের জোর দাবি জানিয়েছে সিলেট উন্নয়ন পরিষদ। এই সড়ক নিয়ে কোনো ধরণের টালবাহানা সহ্য করা হবে না বলেও হুশিয়ারি উচ্চারণ করা হয়। বাংলাদেশ সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগের এক প্রতিবেদনে এই সড়ককে দুই লেনে করার প্রস্তাব প্রত্যাখান করে বলা হয়, দ্রুত এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া না হলে উন্নয়ন পরিষদ কঠোর আন্দোলনে যেতে বাধ্য হবে। সিলেটের পেশাজীবী, ব্যবসায়ী, সাংস্কতিক সংগঠনের সমন্বয়ে গঠিত সিলেট উন্নয়ন পরিষদের এক সভায় এ দাবি জানানো হয়। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে সিলেট নগরের একটি হোটেলের হলরুমে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সংগঠনের যুগ্ম আহ্বায়ক ও সিলেট চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি এ টি এম শোয়েবের সভাপতিত্বে এবং সদস্য সচিব আহমেদ নূরের পরিচালনায় সভায় নেতৃবৃন্দ চরম ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন সিলেট নগরকে যানজট মুক্ত করার লক্ষে প্রায় দশ বছর আগে এ বাইপাস সড়কটি নির্মাণ কাজের শুভ সুচনা করেছিলেন সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। কিন্তু পরবর্তী সময়ে একের পর এক নানা জটিলতা সৃষ্টির মাধ্যমে এ সড়কটির কাজ প্রত্যাশিতভাবে এগোয়নি। এবারে সিলেটবাসী আশায় বুক বেধে ছিলেন যে প্রত্যাশা অনুযায়ী এ সড়কটি দ্রুত চারলেন প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে সিলেট নগরকে বিশেষ করে কোম্পানিগঞ্জ ভোলাগঞ্জে যাতায়াতকারী পাথরবাহী ট্রাকের অসহনীয় যন্ত্রনা থেকে রেহাই পাবে। কিন্তু হঠাৎ করে সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগ জানায় কুমারগাঁও-বাদাঘাট-এয়ারপোর্ট চার লেন করার প্রয়োজন নেই এবং দুই লেন করলেই বিদমান সমস্যার সমাধান হবে। এটি জানার পর সিলেটজুড়ে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সুষ্টি হয়। নেতৃবৃন্দ বলেন, গত ৮ আগস্ট বাংলাদেশ সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগের যুগ্ম প্রধান জাকির হোসেনের নেতৃত্বে একটি উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দল সরজমিন পরিদর্শনে সিলেট আসেন। তারা সিলেট বিমানবন্দর থেকে বাদাঘাট হয়ে তেমুখি পয়েন্ট পর্যন্ত বিভিন্নস্থানে দাঁড়িয়ে পুরো সড়কের রূপরেখা পর্যবেক্ষণ করেন ঐদিন বিকেলে সিলেটে সাংবাদিক ও গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গের সঙ্গে আলোচনায় এ রাস্তাটি দ্রুত চারলেন বাস্তবায়নের ব্যাপারে আশ্বস্ত করেন। কিন্তু ঢাকায় গিয়ে গত ১৭ আগষ্ট সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগে এই প্রতিনিধি দল একটি প্রতিবেদন দাখিল করে বলেন সড়কটি দুই লেনে নির্মাণ হলেও বিদ্যমান সমস্যার সমাধান হবে। এটা সম্পূর্ণ মনগড়া এবং বাস্তবতা বিবর্জিত প্রতিবেদন আখ্যায়িত করে পরিষদ নেতৃবৃন্দ বলেন, এই বাইপাস সড়ককে ছয় লেনের ব্যবস্থা রেখে চার লেনে বাস্তবায়ন করতেই হবে। এ নিয়ে কোনো গড়িমসি সিলেটের মানুষ মেনে নেবে না। এটা সিলেটবাসীর প্রতি বিমাতাসূলভ আচরণ বলেও তারা মন্তব্য করেন। তারা এ প্রতিবেদনকে প্রত্যাখ্যান করে অবিলম্বে এই বাসপাস সড়ক চার লেনে বাস্তবায়নে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এর হস্তক্ষপ কামনা করেন। সভায় বক্তব্য রাখেন সিলেট উন্নয়ন পরিষদের যুগ্ম আহবায়ক ও আটাবের সাবেক সভাপতি আব্দুল জব্বার জলিল, সিলেট জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি তাপস দাশ পুরকায়স্থ, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক মাহিউদ্দিন সেলিম, সিলেট মেট্রোপলিটান চেম্বারের সহ সভাপতি মো. খয়রুল হোসেন, সিলেট অনলাইন প্রেসক্লাব সভাপতি মুহিত চৌধুরী, সিলেট জেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শাহ দিদার আলম নবেল, সিলেট উইমেন্স চেম্বারের সভাপতি স্বর্ণলতা রায়, সিলেট অনলাইন প্রেসক্লাবের সাধারন সম্পাদক মকসুদ আহমদ মকসুদ, দৈনিক সবুজ সিলেটের প্রকাশক ও সম্পাদক মুজিবুর রহমান, সম্মিলিত নাট্য পরিষদের সভাপতি মিশফাক আহমদ চৌধুরী মিশু, দৈনিক একাত্তরের কথা নির্বাহী সম্পাদক মঈন উদ্দিন, মহানগর ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আব্দুর রহমান রিপন, সিলেট প্রবাসী কল্যাণ মঞ্চের সভাপতি আনোয়ার হোসাইন, সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন কয়েচ, আল হামরা শপিং সিটি ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মো. সামশুল আলম, সিটি সেন্টার মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদকস হোসেইন আহমদ প্রমুখ।

সংবাদ অনুসন্ধান ক্যালেন্ডার

MonTueWedThuFriSatSun
  12345
2728     
       
28      
       
       
       
1234567
2930     
       

আমাদের ফেইসবুক পেইজ