গৌরবোজ্জ্বল ঐতিহ্যে রাবির ৬৭ বছর পূর্তি উদযাপন

প্রকাশিত: ৭:২৯ অপরাহ্ণ, জুলাই ৬, ২০২০

গৌরবোজ্জ্বল ঐতিহ্যে রাবির ৬৭ বছর পূর্তি উদযাপন

অনলাইন ডেস্ক :

১৯৫৩ সালের ৬ জুলাই যাত্রা শুরু করে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বিদ্যাপীঠ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি)। সূচনালগ্নে মাত্র ১৬১ জন শিক্ষার্থী নিয়ে যাত্রা শুরু। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষার্থী ৩৮ হাজার ছাড়িয়েছে।

হাঁটি-হাঁটি পা পা করে নানা চড়াই উৎরাই পেরিয়ে ইতিহাস আর গৌরবোজ্জ্বল ঐতিহ্যে ৬৭ বছর পার করে ৬৮ তে পা দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়টি।

এই দিনটিকে স্মরণ করতে বর্তমান প্রশাসন বেশকিছু কর্মসূচি হাতে নিলেও করোনাভাইরাসের কারণে সোমবার সীমিত পরিসরে তা পালন করা হয়। এর মধ্যে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে বৃক্ষরোপণ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ড. এম আবদুস সোবহান।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রো-ভিসি ড. আনন্দ কুমার সাহা, চৌধুরী মো. জাকারিয়া, প্রক্টর ও ছাত্র-উপদেষ্টা (চলতি দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. মো. লুৎফর রহমান প্রমুখ।

ষাটের দশক থেকে শুরু করে দেশের বিভিন্ন আন্দোলন-সংগ্রামে এ বিশ্বাবিদ্যালয়ের রয়েছে অনেক অবদান। ৬২’এর শিক্ষা আন্দোলন, ৬৬’র ছয় দফা, ৬৯’এর গণঅভ্যুত্থান, ৭০ সালের সাধারণ নির্বাচন, মহান মুক্তিযুদ্ধ, ৯০-এর গণআন্দোলনে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সমাজ অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে। শিক্ষার্থীরা স্বাধিকার চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছে অত্যাচার আর শোষণের বিরুদ্ধে। সেই স্বাধিকার সংগ্রামের ইতিহাসে যুক্ত হয় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন প্রক্টর ড. মোহাম্মদ শামসুজ্জোহার নাম। ৬৯ এর গণআন্দোলনে তৎকালীন পাকিস্তানির সেনাবাহিনীর বুলেটে শহীদ হন তিনি।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় স্যাডলার কমিশনের ভূমিকা তুলনাবিহীন।

১৯৫৩ সালে ৬ জুলাই প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যক্রম শুরু হয় ১৯৫৪ সালে পদ্মার তীরের বড় কুঠিতে। পরে ১৯৬১ সালে শিক্ষা কার্যক্রম স্থানান্তর করা হয় মতিহারের সবুজ চত্বরে। যার স্থাপত্য পরিকল্পনায় ছিলেন অস্ট্রেলিয়ান স্থপতি ড. সোয়ানি টমাস।

শুরুতে দর্শন, ইতিহাস, বাংলা, ইংরেজি, অর্থনীতি, গণিত ও আইন বিষয়ে স্নাতকোত্তর কোর্স দিয়ে যাত্রা শুরু হলেও বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯টি অনুষদের অধীনে ৫৯টি বিভাগ। উচ্চতর গবেষণার জন্য ৬টি ইন্সটিটিউট। রয়েছে অর্ধশতাধিক বিদেশি শিক্ষার্থীর।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ