সকাল থেকেই থেমে থেমে বৃষ্টি : নগরীতে ফের জলাবদ্ধতা

প্রকাশিত: ১:২২ অপরাহ্ণ, জুলাই ১২, ২০২০

সকাল থেকেই থেমে থেমে বৃষ্টি : নগরীতে ফের জলাবদ্ধতা

নিজস্ব প্রতিবেদক : সকাল থেকেই বৃষ্টি হচ্ছে থেমে থেমে। বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হওয়া এই বৃষ্টি চলছে রোববার দিনের শুরু থেকেই। এ অবস্থায় ভোগান্তিতে পড়েছেন সিলেট নগরীর বাসিন্দারা। বৃষ্টির কারণে অনেক এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। অন্যদিকে যানবাহন কম থাকায় দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে পথচারীদের ।

ফলে করোনার মধ্যেও যারা ঘরের বাইরে ছিলেন, তারা অনেকটা ভোগান্তিতে পড়েন। বৃষ্টির কারণে রাস্তাঘাটে যেখানে সেখানে পানি জমে উঠে। কাদা জমে যায় সেই পানির সাথে। ফলে দুর্ভোগের মাত্রা বেড়ে যায় কয়েকগুণ। অন্যদিকে বৃষ্টির কারণে শহরে সকল ধরণের যানবাহনের সংখ্যা ছিলো কম। যে কারণে অনেককেই কর্মস্থল থেকে বাড়ি ফিরতে হয়েছে দেরীতে। গতকাল শনিবার সকাল থেকে টানা বর্ষণের ফলে শহরের অনেক এলাকায় জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। আর শহরতলীর অনেক নিচু এলাকার বাসা-বাড়িতে পানি উঠে যায়। এতে বেশী সমস্যায় পড়তে হয় খেটে খাওয়া শ্রমজীবী মানুষকে।

তেররতন এলাকার বাসিন্দারা বলেন, বৃষ্টির কারণে সকাল থেকে ছিলেন ঘরবন্দী। সবজি নিয়ে যাওয়া হয়নি কোথাও। আনসার আহমদ একজন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকুরী করেন। প্রতিদিন সময় মতো অফিসে পৌঁছতে পারলেও তীব্র বৃষ্টির কারণে গতকাল শনিবার কর্মস্থলে পৌছতে অনেক বিলম্ব হয়। তার মতো অনেক চাকুরীজীবীকে একইভাবে বৃষ্টির দুর্ভোগে পড়তে হয়। দুপুরে ক্বীনব্রীজ এলাকায় কথা হয় ঠেলাগাড়ি চালক বয়োবৃদ্ধ জালাল মিয়ার সাথে।

তিনি জানান, সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত বসে সময় পার করছেন। কোনো রোজগার হয়নি। একইস্থানে রিকসা চালক মফিজ মিয়ার সাথে কথা হলে তিনি জানান, করোনার মধ্যে এমনিতে রোজগার কমে গেছে। তারমধ্যে বৃষ্টি হবার ফলে যাত্রী নেই বললেই চলে। এ অবস্থায় পরিবারের মুখে খাবার তুলে দেয়া কঠিন হয়ে পড়বে।

এদিকে, রবিবার সকাল থেকে টানা বৃষ্টি হওয়াতে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় দোকানপাট তেমন খোলা ছিলোনা। যারা খুলেছেন তাদের বেচাকেনা নেই বললেই চলে। অনেকে বিক্রি করতে পারেননি। জিন্দাবাজার এলাকার জসিম মিয়া নামে এক ব্যবসায়ী জানান, ব্যবসা খুব খারাপ। সকাল থেকে মানুষজনই কম। মানুষ না আসলে ব্যবসা কার কাছে করবো। সিলেট আবহাওয়া অফিসের সিনিয়র আবহাওয়াবিদ সাঈদ আহমদ চৌধুরী জানান, আজ রোববার পর্যন্ত এরকম ভারী বৃষ্টি থাকতে পারে। তারপর থেকে বৃষ্টি হবে, তবে পরিমাণ কমে আসবে।