দোয়ারাবাজারে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে প্রকল্পের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

প্রকাশিত: ১১:৫৭ অপরাহ্ণ, জুলাই ১৬, ২০২০

দোয়ারাবাজারে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে প্রকল্পের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

দোয়ারাবাজার প্রতিনিধিঃ সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার দোহালিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কাজী আনোয়ার মিয়া আনুর বিরুদ্ধে ২০১৭-২০১৮ অর্থ বছরের অতি হতদরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থানের অধীনে ৩৭,৩৮,৩৯,৪০,৪১,৪২,৪৩ নম্বার নামের ৭ টি প্রকল্প প্রহণ করা হয়। এই সবগুলো প্রকল্প চেয়ারম্যান আনু মিয়া তার ঘনিষ্ঠসহ ইউপি সদস্য আলী হোসেনের ঘনিষ্ঠজন দিয়ে প্রকল্প তৈরী করেন চেয়ারম্যান আনু মিয়া।

এ ব্যাপারে সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক, উপজেলা চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও দুর্নীতি দমন কমিশনসহ বিভিন্ন উর্দ্ধতন সরকারি দপ্তরে অবিলম্বে এসব অনিয়ম-দুর্নীতির তদন্ত পূর্বক বিচার দাবি করা হয়েছে জয়নাল আবেদীন।

জয়নাল আবেদীন লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করা হয়,এই সেন্টিকেটের গডফাদার দোহালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কাজি আনোয়ার মিয়া আনুসহ সতটি প্রকল্পের ইউপি সদস্যও রয়েছে। তবে আমার নিজ গ্রাম বাদে গোরেশপুর গ্রামের নামের ৪১ নাম্বার প্রকল্প ছৈর আলীর বাড়ি থেকে ব্রীজের মুখ পর্যন্ত এবং মোহনের বাড়ি থেকে মেইন রোর্ড পর্যন্ত পূর্ণ নির্মাণ নামে যে প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। এই নামে আমাদের গ্রামে কোন লোক ছিল না।

সম্পূর্ণ ভুয়া নামে প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। এই প্রকল্প পুরো টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে চেয়ারম্যান আনু মিয়া। ৩৯ নাম্বার দেওয়ান নগর মসজিদের সামনে থেকে টলার ঘাট ধোপাখাই সতিষ বাবুর দোকান থেকে রেজাউলের বাড়ি পর্যন্ত বায়া বিনন্দ দাসের বাড়ির রাস্থা পূর্ণ নির্মান প্রকল্পে দু এক মুঠো মাটি ফেলে বরাদ্দের পুরো টাকাই আত্মসাৎ করা হয়েছে চেয়ারম্যান।

এই ৪১ ও ৩৯ নাম্বারের দুই প্রকল্পে সুবিধা ভোগীর তালিকায় মৃত ব্যক্তি,পাগল,ও প্রবাসীদেরকে অতি দরিদ্রের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচির প্রকল্পের তালিকায় নাম দিয়ে প্রকল্প তৈরি করা হয়।৩৯ ও ৪১ প্রকল্পের নামের তালিকায় ক্রমিক নং ১৮ নুর মিয়া পিতা সিকন্দর আলী গ্রাম দেওয়ান নগর ইউপি দোহালিয়া। তিনি গত ছয় বছর আগে মারা গেছেন।তালিখায় ক্রমিক নং ৪ হাবিবুর রহমান পিতা আমির আলী গ্রাম দেওয়ান নগর। তিনি গত ছয় থেকে সাত বছর ধরে প্রবাসে আছেন। ক্রমিক নং ৫৪ আব্দুল গনি, পিতা আলকাছ আলী গ্রাম বাদে গুরেশপুর।

তিনি একজন মানসিক ভারসাম্যহীন লোক। তাকে ২৪ ঘন্টা শিকলে বাদ অবস্থায় বাড়িতে রাখা হয়। ক্রমিক নং ৫৯ ফরিদা বেগম স্বামী ফয়জুল ইসলাম গ্রাম বাদে গুরেশ পুর। তার চার(০৪) কোটি টাকা মূল্যের বাড়ি আছে। তাদেরকে অতি দরিদ্রদের কর্মসংস্থান কর্মসূচির আওতায় গৃহীত প্রকল্পের রাস্থায় মাটি কাঠার শ্রমিক হিসেবে দেখানো হয়েছে।

এছাড়াও প্রকল্পের অধিকাংশই উপকারভোগীদের জাল স্বাক্ষর দিয়ে,কাজ না করে টাকা আত্মসাৎ করেছেন চেয়ারম্যান আনু মিয়া। এ নিয়ে গত ১২/৬/ ২০১৯ ইং তারিখে জেলা প্রশাসক বরাবরে আমাদের গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা আলাউদ্দিন একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। কোন সুবাহা না পেয়ে আবারো ১৯/১১/১৯ ইং তারিখে জেলা প্রশাসকের বরাবরে আবারো একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। অভিযোগ করেই এখনো কোনো প্রতিকার পাওয়া যায় নাই।

অনুসন্ধানে আরো জানা যায় চেয়ারম্যান আনু মিয়ার প্রভাব কাটিয়ে মেম্বার তার ব্যক্তিস্বার্থ হাসিলের জন্য করবস্থানের উপর দিয়ে রাস্তা করেছেন। বিষয়ে জানতে চাইলে সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আহাদের মোবাইল ফোনে ফোন দিলে তিনি প্রতিবেদকের ফোন রিসিভ করেনি।