একটি ফেসবুক পোস্ট ও সাংবাদিক ফজলুল বারীর কৈফিয়ত

প্রকাশিত: ৯:১২ অপরাহ্ণ, জুন ২৭, ২০২০

একটি ফেসবুক পোস্ট ও সাংবাদিক ফজলুল বারীর কৈফিয়ত

ফজলুল বারী। অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী এ সাংবাদিক দীর্ঘদিন ধরে সাংবাদিকতার সাথে জড়িত। দেশে থাকতে ছিলেন দৈনিক জনকণ্ঠের সিনিয়র রিপোর্টার। জীবিকার তাগিদে প্রবাসে ঠিকানা গাঁড়লেও লেখালেখি ছাড়তে পারেননি। নিয়মিতই লিখছেন। দৈনিক একাত্তরের কথা’তেও নিয়মিতই লিখছেন তিনি। সম্প্রতি ফেসবুকে দেওয়া তার একটি পোস্ট নিয়ে ব্যাপক প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। সে পোস্টটির প্রেক্ষিতে নিজের ব্যাখ্যা তুলে ধরেছেন ফজলুল বারী। তার ভাষ্যটি হুবহু তুলে দেওয়া হলো -বার্তা সম্পাদক

আমার কৈফিয়ত

প্রিয় অনেকে ভুল বুঝে আছেন। অথচ এটাতো অনেকের প্রিয় মানুষটির বিরুদ্ধে লেখা ছিলো না। বাবা দিবসে একজন বাবা’র জীবনের একটি অপ্রকাশিত ঘটনার আংশিক লেখা হয়েছিল। ঘটনাটা ২০১৯ সালের। ভুল একটা ছিল বাড়িটা ধানমন্ডিতে নয় বনানীতে। আমিও জানতাম বনানীতে তাঁর বাড়ি। আমি যে পোস্ট প্রথম দেখি তাতে ধানমন্ডির কথা লিখেছিলেন। তাঁর লেখাটি ১৭ জুন ফেসবুকে পোস্ট করা হয়েছিল। সেটি নিয়ে খোঁজ নিতে গিয়ে দেখি অনেকে ঘটনা জানেন। আমি বাড়ি বনানীতে এই সংশোধনীও দিয়েছিলাম। এর আগেই তা অনেকে শেয়ার করে ফেলেন।
বিষয়টি নিয়ে এর আগে একটি নিউজও হয়েছিল, ‘সাবেক মন্ত্রী বাড়ি ছাড়ছেন না, নতুন মন্ত্রী বাড়িতে উঠতে পারছেননা’। এখন বলা হচ্ছে ডেভলপার দিয়ে বাড়ি ভেঙ্গে নতুন বহুতল বানানো নিয়ে বাবা-ছেলের দ্বন্দ্ব!’ বাবা তাঁর স্মৃতিময় বাড়িটি যতদিন বেঁচে আছেন তা ভাঙ্গতে চান না। তাঁর তো সিলেটেও বাড়ি আছে। কিন্তু তিনি তাঁর ঢাকার বাড়িতে থাকতে চেয়েছেন।
তাঁকে বাড়িতে উঠিয়ে দেবার পর আর কোনো সমস্যা হয়নি। গত বাবা দিবসে বনানীর বাড়িতে একটি পার্টিও হয়। এখন পরিবারটির কিছু সদস্যের হাতে ভিকটিম অনেকে নানান তথ্য দিচ্ছেন। এমন ঘটনা অনেক হয়। সবাই একটা সুযোগ নিতে চায়। কিন্তু আমিতো এক ইস্যু নিয়ে পড়ে থাকার মানুষ না। আমার কাছে এসব জরুরিও নয়।
এখন একটি দুর্ভাগ্যজনক সত্যি ঘটনার ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে একজন সাংবাদিককে গুজব রটনাকারী বলে কার লাভ কার ক্ষতি হচ্ছে? ঢাকার কত সাংবাদিক ঘটনা জানেন তা নিয়ে একটা জরিপ চালিয়ে দেখবেন? সিলেট সিক্সার্সের লোকজনও জানেন ঘটনা। এখন বাড়ি ধানমন্ডিতে নয় বনানীতে এ কথা বললেই তা সহী হয়ে গেলো?
যে কর্মকর্তার নেতৃত্বে কাজটি হয়েছে তিনিও তো তাদের আত্মীয়। ঘটনা প্রকাশ পেয়ে হৈচৈর সৃষ্টি হওয়ায় তিনি ভয়ে আছেন, না জানি তাঁর সামনের পোস্টিং’টা ভেস্তে না যায়। এরপরও যারা কষ্ট পেয়েছেন তাদের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী। কারন কে হায় হৃদয় খুঁড়ে বেদনা জাগাতে ভালোবাসে। আমি কাউকে কষ্ট দিতে লেখাটা লিখিনি। লিখেছিলাম এক বাবা’র কষ্টের কাহিনী শেয়ার করতে। সিলেটে এখন তাঁর মাপের দ্বিতীয় কেউ বেঁচে নেই। ভালো থাকবেন স্যার। দেখলেন তো আপনি একা অসহায় কেউ নন। সবাই আপনাকে অনেক অনেক ভালোবাসে।

ফজলুল বারী
সিডনি, অস্ট্রেলিয়া
সুত্র : একাত্তরের কথা’