ওসমানীনগরের ওসি রাশেদ মোবারক বদলী

প্রকাশিত: ৭:২৪ অপরাহ্ণ, জুলাই ১৩, ২০২০

ওসমানীনগরের ওসি রাশেদ মোবারক বদলী

নিজস্ব প্রতিবেদক :: সিলেটের ওসমানীনগরের ওসি রাশেদ মোবারককে বদলী করা হয়েছে। আজ সোমবার (১৩ জুলাই) ঢাকার এসবি পুলিশে তাকে বদলী করা হয়।

একটি সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

ওসি রাশেদ মোবারক নানা বিতর্কিত কাজে ওসমানীনগরে আলোচিত ছিলেন। উপজেলার উমরপুর ইউপি আ.লীগের সভাপতি শহিদ পরিবারের সদস্য দবির মিয়া, উপজেলা যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ইকবাল আহমদ এবং উমরপুর ইউনিয়নের সালিশি ব্যাক্তিত্ব সাবেক ইউপি সদস্য তখলিছ আলী, উপজেলা বিএনপির সাবেক আহবায়ক উমরপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান চেরাগ আলী তার এমন খারাপ আচরণের শিকার হয়েছেন।

এসব ঘটনায় গত ১৮ জুন সিলেট রেঞ্জের ডিআইজির কাছে মৌখিকভাবে বিষয়টি জানান ভুক্তভোগীরা। পরে পুলিশ সুপারের কাছেও অভিযোগ জমা দেন তারা।

জানা যায়, অফিসার ইনচার্জ রাশেদ মোবারক অত্র থানায় যোগদানের শুরু থেকে অদ্যাবধি পর্যন্ত ঘুষ, দুর্নীতি, লুট-পাট, স্বেচ্চাচারীতাসহ নানান অনিয়মের মধ্য দিয়ে ইত্যেমধ্যে কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। যোগদানের শুরুতেই তিনি অপরাধীদের ধরপাকর, মাদক, জুয়াসহ বিভিন্ন ধরনের অপরাধমূলক কর্মকান্ডের সহিত জড়িতদের ধাওয়া দিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করার কাজ করতেন। আর এভাবেই অপরাধীরা দলে দলে পকেটে আসতে থাকে রাশেদ মোবারকের। এর মাধ্যমেই তিনি আর্থিক সুবিধা সৃস্টি করে পকেট ভারী করছেন। রয়েছে নিরব বেপরোয়া চাঁদাবাজি ও ঘুষবাণিজ্য। কোন সাধারণ মানুষ তার সামনে এসে কথা বলার সুযোগ পায়না তার বিকৃত মনোভাবের কাছে।

ওসির এই অনিয়ম বন্ধ হয়নি করোনাকালেও। করোনা ভাইরাস প্রাদুর্ভাবের শুরু থেকে শুরু করেন করোনা বাণিজ্যে। লকডাউন করে রাখাসহ নানা কায়দায় সাধারণ মানুষদের হায়রানী করে টাকা হাতিয়ে নেয়ার পায়তারা। এর প্রতিবাদ করলেই ডাইরেক্ট মামলা দিয়ে কোর্টে চালান। এমন ঘটনার শিকার উপজেলার গোয়ালাবাজার ইউপির ৯নং ওয়ার্ড আ.লীগের সভাপতির পুত্র।

লকডাউন চলাকালিন সময়ে পুলিশ কর্তৃক হয়ারানীর দৃশ্য মোবাইল ফোনে ধারন করার অভিযোগে পরবর্তীতে ওসির কাছে মাফ না চাওয়ায় তাকে আটক করে গুজব রটনাকারী সাজিয়ে মামলা দিয়ে কোর্টে চালান করে দেওয়া হয়। লকডাউন ও গন পরিবহন বন্ধ থাকাকালিন সময়ে ঢাকা- সিলেট মহাসড়কের ওসমানীনগরের প্রবেশদ্বার শেরপুর টুলপ্লাজায় চেকপোষ্ট বসিয়ে প্রতিটি গাড়িকে নানা কায়দায় চাঁদা আদায় ও সাধারণ চালকদের মারধরের বিষয়টি জানিয়েছেন ভোক্তভোগীসহ শেরপুর টোলপ্লাজা এলাকার একাধিক বাসিন্দারা। অন্যদিকে লকডাউন চালাকালে অবাধে জনসমাগম করার বিষয়ে উপজেলার সচেতণ মহলের পক্ষ থেকে ওসিকে বিভিন্ন সময় অবগত করা হলেও ইউএনওর দোহাই দিয়ে তিনি অবগতকারীদের সাথে অশালিন আচরন করতেন বলে অনেকেই জানিয়েছেন।