‘মিথ্যারই জয় আজ!’

প্রকাশিত: ১২:৫০ পূর্বাহ্ণ, জুলাই ২৩, ২০২০

‘মিথ্যারই জয় আজ!’

বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক :;

পঞ্চাশ দশকে কলকাতায় নির্মিত হয়েছিল কালিকানন্দ অবধূতের উপন্যাস অবলম্বনে ‘মরুতীর্থ হিংলাজ’ নামের ছবি। এ ছবিতে কিংবদন্তির গীতিকার গৌরীপ্রসন্ন মজুমদারের লেখা গানগুলো গেয়েছিলেন উপমহাদেশের সংগীতজগতের সর্বকালের কিংবদন্তি হেমন্ত মুখোপাধ্যায়। সেসব গানের একটি লাইন হলো- ‘মিথ্যারই জয় আজ সত্যের নাই তাই অধিকার’। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সাম্প্রতিক নাটক দেখে মনে হচ্ছে, গৌরীবাবু যে পরিস্থিতির কথা মনে রেখে গানটি লিখেছিলেন, সে পরিস্থিতিই বিরাজ করছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও অধিদফতরে। বাইরে থেকে পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে যে, সেখানে মিথ্যা প্রতিযোগিতার অনুশীলন চলছে। কার মিথ্যা ভাষণ বেশি জোরালো তার পাল্লা। এ মিথ্যা প্রতিযোগিতার সূত্র হচ্ছে রিজেন্ট হাসপাতাল এবং জেকেজি নামক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে অবৈধ চুক্তি। চুক্তি সই করার সময় ঘটনার নায়করা উপলব্ধি করতে পারেননি এ ধরনের একটি ঘটনা থেকে এত বড় অগ্ন্যুপাত হবে, খুলে যাবে দুর্নীতির বহু গোপন দরজা। সম্ভবত খনা বলেছিলেন, ‘ধর্মের কল বাতাসে নড়ে’। এখানেও বাতাসই কল নাড়িয়ে ছিল বলে ইতালিতে ধরা পড়ল কয়েকটি বেসরকারি হাসপাতাল মিথ্যা করোনামুক্ত সনদ দিচ্ছে। খবরটি শুধু ইতালিতেই সীমিত থাকেনি। ইউরোপ হয়ে এটি ছড়িয়েছে সারা বিশ্বে, বিশ্বের মাঝে আমাদের ভামমূর্তিকে মারাত্মকভাবে দগ্ধ করে, যে ভাবমূর্তি প্রজ্ঞা, দূরদৃষ্টি, মানবদরদ, দেশপ্রেম, নিরলস পরিশ্রম এবং সফল রাষ্ট্রনায়কসুলভ কর্মকান্ড দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এক বিশেষ উচ্চতায় তুলতে পেরেছেন গত ১১ বছরে। ঘটনা ফাঁস হওয়ার পর স্বাস্থ্যমন্ত্রী, সেই সময়ের স্বাস্থ্য সচিব এবং স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক যিনি গত মঙ্গলবার পদত্যাগ করেছেন শঙ্কিত হয়ে পড়েন এবং কীভাবে যার যার ব্যক্তিগত গা-বাঁচানো যায় সে ফন্দি আঁটতে থাকেন। এরই মধ্যে আবার মহাপরিচালক সাহেব সোজাসুজি তীর নিক্ষেপ করলেন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের শীর্ষকর্তাদের দিকে, যে তীরের আওতায় আসে মন্ত্রী এবং সে সময়ের সচিব, উভয়েই। মহাপরিচালক রাখঢাক না রেখে খোলা ভাষায় বলে ফেললেন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্তাদের নির্দেশেই রিজেন্ট হাসপাতালের সঙ্গে চুক্তি করতে হয়েছে। পরে ব্যাখ্যা দিয়ে বলেছেন সে সময়ের সচিব তাকে মৌখিক নির্দেশ দিয়েছিলেন রিজেন্টের সঙ্গে চুক্তি করতে। মহাপরিচালকের উক্তিতে দুর্নীতির ইঙ্গিত অতি স্পষ্ট। কেন তারা ছয় বছর লাইসেন্স নেই, তা জেনেশুনেও একটি ভুয়া, অবৈধ হাসপাতালের সঙ্গে মোটা অঙ্কের টাকা গচ্চা দিয়ে চুক্তি করতে গেলেন তা আঁচ করা অতি সাধারণ জ্ঞানের মানুষের পক্ষে সম্ভব। পুরো নাটকে চালিকাশক্তি হয়ে কাজ করেছে পয়সার ভাগাভাগি। মহাপরিচালকের কথায় তেলেবেগুনে জ্বলে উঠলেন মন্ত্রী এবং সে সময়ের সচিব। এখানে আরও উল্লেখযোগ্য, কয়েক সপ্তাহ আগে ওষুধ দফতরের বিদায়ী পরিচালক একজন চাকরিরত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল, লিখিতভাবেই মন্ত্রীপুত্রের বিরুদ্ধে বহু কথা লিখেছেন নির্ভয়ে, যেসব কথা সত্য না হলে একজন কর্মরত সেনা কর্মকর্তা লিখতে সাহস পেতেন না। প্রথমে মন্ত্রী সাহেব সম্পূর্ণ অজ্ঞতার নাটক করে বললেন তিনি সাহেদকে চেনেন না, ওই চুক্তির ব্যাপারে কিছুই জানেন না। এ কথা বলার সময় তিনি সম্ভবত মনে করতে পারেননি আজকাল ছবি তোলা যায় এমন মুঠোফোন সবারই আছে। এক বেরসিক মানুষ ছবিসহ প্রমাণ করলেন মন্ত্রী সাহেবের কথায় সত্যের লেশমাত্র নেই। তিনি চুক্তি করার সময় সাহেদের গা-ঘেঁষেই বসে ছিলেন। ওই ছবি দ্বারা যখন স্বাস্থ্যমন্ত্রী খাদে পড়ে গেলেন, তখন তিনি দিলেন এক নতুন বক্তব্য যা তার আগের বক্তব্যের সঙ্গে সাংঘর্ষিক, যা থেকে সহজেই ধরে নেওয়া যায় এক বিরাট দুর্নীতির অস্তিত্ব। নতুন সাফাইয়ে তিনি বলেছেন, মহাপরিচালকের অনুরোধক্রমে তিনি অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন, সঙ্গে নিয়েছিলেন কজন সচিবকে। রাষ্ট্রব্যবস্থা কীভাবে পরিচালিত হয়, সে সম্পর্কে যার ন্যূনতম জ্ঞান আছে, তিনিও নিশ্চিত যে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর এ ব্যাখ্যা ধোপে টেকে না। একজন মন্ত্রী তারই মন্ত্রণালয়ের এক যুগ্ম/অতিরিক্ত সচিব মর্যাদার কর্মকর্তার তাৎক্ষণিক অনুরোধে একটি অতি সাধারণ চুক্তি অনুষ্ঠানে চলে যাবেন, অনুষ্ঠানকে ভিআইপি পর্যায়ে তুলে দেওয়ার জন্য, তা বিশ্বাস করার লোক নিশ্চয়ই খুব কম, বিশেষ করে মন্ত্রী সাহেব যখন বললেন, তিনি চুক্তি সম্পর্কে কিছুই জানতেন না। ওই হাসপাতাল যে লাইসেন্সবিহীন অবৈধ, এটা যদি সত্যি না জেনে অনুষ্ঠানে গিয়ে থাকেন, তা হলে মন্ত্রী হিসেবে তার যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলাই যৌক্তিক। যদি তার অজ্ঞতার দাবি সত্য হয়, তাহলে যে কথা সবাই জানতে চাইবেন তা হলো তার কি চুক্তির আদিঅন্ত মহাপরিচালকের কাছ থেকে জেনে নেওয়া উচিত ছিল না? সমস্ত পরিস্থিতি বিবেচনায় আনলে তার অজ্ঞতার দাবি অগ্রহণযোগ্য রয়ে যায়। একটি অতি সাধারণ চুক্তি অনুষ্ঠানে এক মন্ত্রী ও কয়েকজন সচিবের উপস্থিতি শুধু অশোভনই নয়, এটি প্রচলিত রীতির সঙ্গে সাংঘর্ষিক, অস্বাভাবিক এবং সন্দেহ উদ্রেককারীও বটে। কী এমন মৌচাক সেখানে ছিল যে স্বয়ং মন্ত্রী কয়েকজন সচিব নিয়ে চলে গেলেন চুক্তি অনুষ্ঠানকে রাজটিকা প্রদানের জন্য। গোটা পরিস্থিতি, তিনজনের পরস্পরবিরোধী বক্তব্য এবং রাষ্ট্রীয় রেওয়াজ বিবেচনা করলে এ তিনজনের কাউকেই দায়মুক্তি দেওয়া যায় না। মন্ত্রী সাহেব উপস্থিত হলেন অথচ কী হচ্ছে জানতে চাইলেন না, তা স্থূল বুদ্ধিরও কেউ বিশ্বাস করবেন না। মহাপরিচালকই বা কোন লোভে পড়ে মন্ত্রীকে ডেকেছিলেন, এর জবাব তো তাকেই দিতে হবে। পদত্যাগ করলেও দায় এড়ানো যাবে না। সম্প্রতি পাওয়া আরও খবরে প্রকাশ, রিজেন্ট হাসপাতালে যে কজন সরকারি চিকিৎসককে পাঠানো হয়েছিল, তারা অনেক আগেই ওই হাসপাতালের অব্যবস্থা, উপযুক্ত যন্ত্রপাতি এবং আইসিও অভাবের কথা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে জানিয়েছিলেন। কিন্তু স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কিছুই করেনি। এ খবর মন্ত্রী, সে সময়ের সচিব, মহাপরিচালক ইত্যাদির অজ্ঞতার দাবিকে সমূলে নস্যাৎ করে। এ খবর প্রমাণ করে মন্ত্রী সে সময়ের সচিব, মহাপরিচালকসহ মন্ত্রণালয়ের অন্য ঊর্ধ্বতন ব্যক্তিরা সবাই রিজেন্ট হাসপাতালের সবকিছুই জানেন। আগের এন-৯৫ কেলেঙ্কারির সময় তো এ তিনজনই ছিলেন, এই মহাপরিচালকই তো মুগদা হাসপাতালের পরিচালককে ওএসডি করেছিলেন, নকল এন-৯৫ মাস্কের ব্যাপারে সত্য প্রকাশের জন্য।

সত্য যে ঢেকে রাখা যায় না ইতিহাসই তা বারবার প্রমাণ করেছে। পৃথিবীর অন্যতম নিকৃষ্ট মিথ্যাচারী গোয়েবলস বিশ্বাস করতেন একটি মিথ্যাকে শতবার সত্য বলে প্রচার করা হলে মানুষ তাকেই সত্য ভাববে। কিন্তু পরিশেষে তিনি নিজেই মানতে বাধ্য হয়েছিলেন তার তত্ত্ব ভুল। আর এক নাৎসি চর লর্ড হো হোও জীবন সায়াহ্নে এসে বুঝেছিলেন মিথ্যাকে সত্য বানানো যায় না। সত্য নিজ গতিপথ ধরেই আত্মপ্রকাশ করে, যেমনটি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নাটকে ঘটেছে। হেমন্তের গাওয়া সেই গানটির আর একটি লাইন হলো ‘কী যে হলো, কী যে হলো, পশু আজ মানুষের নাম’। এ কথা বলার অপেক্ষা রাখে না যে, যারা করোনার দুর্যোগের সময় দুর্নীতি করে, শঠতা করে, তারা মানুষরূপী পশু, এরাই দুর্নীতিতে গা ভাসিয়ে খাঁটি মাস্কের পয়সা দিয়ে নকল মাস্ক ও অন্যান্য নকল সামগ্রী গ্রহণ করে অসংখ্য চিকিৎসক এবং চিকিৎসাকর্মীর করোনা আক্রান্ত হওয়ার পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছেন। অনেক চিকিৎসক এবং চিকিৎসা কর্মী প্রাণ হারিয়েছেন যার জন্য দায়ী এই মানুষরূপী পশুরা। আন্তর্জাতিক মহল থেকে পাওয়া খবর অনুযায়ী অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি চিকিৎসক এবং চিকিৎসাকর্মী প্রাণ হারিয়েছেন। স্বাস্থ্য খাতের দুর্নীতিবাজরা শত চেষ্টা করেও সত্যকে চাপা দিতে পারেননি, পারেননি মিথ্যা প্রতিষ্ঠিত করতে। বরং তারা নিজেরাই দেশব্যাপী সত্যের ঘাতক হিসেবে পরিচিতি পেলেন। উপনিষদে একটি শ্লোক আছেÑ ‘সত্যম শিবম সুন্দরম’ অর্থাৎ যা সত্য তা-ই ভগবান তা-ই সুন্দর। মুনি-ঋষিরা এ শ্লোকের ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে বলেছেন, এর অন্তর্নিহিত অর্থ হচ্ছে- সত্য কখনো চাপা থাকে না। দিন শেষে সত্যের জয় অবশ্যম্ভাবী। মহামতি গৌতম বুদ্ধ আরও পরিষ্কার ভাষায় বলেছিলেন, ‘সূর্য চন্দ্র এবং সত্য এ তিনকে বেশি সময় ঢেকে রাখা যায় না’। গৌরীপ্রসন্ন মজুমদার ও তাঁর গানের এক জায়গায় ‘মিথ্যারই জয় আজ’ লিখলেও পুরো গানটির মাধ্যমে তিনি যে মর্মার্থ বুঝিয়েছেন তা হলোÑ মিথ্যার জয় সাময়িক, এটি স্থায়ী হতে পারে না। দিন শেষে সত্য মিথ্যার আড়াল থেকে বেরিয়ে আসে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এ তিন ব্যক্তির পরস্পরবিরোধী এবং স্ববিরোধী বক্তব্য ও ভাইরাল হয়ে যাওয়া ছবিটি প্রমাণ করল উপনিষদ এবং গৌতম বুদ্ধের কথা চিরন্তন, অর্থাৎ সত্যকে বিসর্জন দিয়ে মিথ্যা প্রতিষ্ঠিত করা যায় না। তাদের বক্তব্য থেকেই পরিষ্কার হয়ে উঠেছে যে, তাদের দাবিতে সত্যের ন্যূনতম চিহ্নমাত্র নেই।
মন্ত্রী সাহেব ও মহাপরিচালকের বাগ্বিতন্ডায় কখনো কখনো মনে হয় পরস্পরের ওপর দোষ চাপানোর কারণে দুজনের মধ্যে বৈরিতার জন্ম হয়েছে। আবার কখনো কখনো মনে হয় তাদের সুসম্পর্কে ফাটল ধরেনি। বিজ্ঞজনেরা মনে করেন, মন্ত্রী সাহেব মহাপরিচালকের সঙ্গে এই শর্তে আপস করতে চাচ্ছেন যে, কেউ কারও বিরুদ্ধে বলবেন না। মহাপরিচালককে হাতে রাখার পক্ষে অনেক যুক্তি রয়েছে কারণ তিনি ভিতরের বহু খবর জানেন। তার দ্বারা এগুলো ফাঁস করার অর্থ হবে প্যান্ডোরার বক্স খুলে দেওয়া। মন্ত্রী সাহেব সত্যকে হত্যা করে একটি মিথ্যা উপাখ্যানকে প্রতিষ্ঠিত করার যে চেষ্টা করেছিলেন তাতে সফল হননি। জনগণ নিশ্চিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে যা ঘটানো হয়েছে, তাতে কলকাঠি নেড়েছেন মন্ত্রী, সাবেক সচিব ও মহাপরিচালক। তাদের সঙ্গে আরও কর্মকর্তা এবং বহিরাগতরাও ছিলেন। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় যারা ওই সাধারণ অনুষ্ঠানকে অসাধারণ বানানোর আয়োজন করেছিলেন, যেসব ভিআইপি তাতে অংশ নিয়েছিলেন, তাদের উদ্দেশ্য সম্পর্কেও কারও মনে দ্বিধা নেই। যে ছবিটি ভাইরাল হয়েছে তা থেকে এটি দিবালোকের মতোই পরিষ্কার যে, সাহেদের সঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রী, সেই সময়ের স্বাস্থ্য সচিব এবং সদ্য পদত্যাগকারী মহাপরিচালক এ তিনেরই ভালো সম্পর্ক ছিল। ছবিতে তিনজনকেই সাহেদের নিকটতম স্থানে বসা দেখা গেছে। মন্ত্রী সাহেব সাহেদকে চিনতেন না বলে যে দাবি করছেন, এ ছবি বলছে তার উল্টোটি। বিজ্ঞানাচার্য অ্যালবার্ট আইনস্টাইন বলেছিলেন, যে ব্যক্তি একবার মিথ্যা কথা বলে ধরা পড়ে, তাকে আর কখনো বিশ্বাস করা যায় না। প্রশ্ন হচ্ছে যারা তাদের বিশ্বাসযোগ্যতা শূন্যের কোঠায় নামিয়ে এনেছেন, তাদের, বিশেষ করে এই করোনা মহামারীর সময়, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ে অর্থাৎ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে রাখা নিরাপদ কিনা? রাখলে মিঠু, রাজ্জাক, সাহেদ, সাবরিনাসহ আরও শত শত প্রতারক তৈরি হবে। গডফাদারদের বিরুদ্ধেও অবস্থান নিতে হবে, বিচারের আওতায় তাদেরও আনতে হবে, নইলে ফল হবে শূন্য। পার্লামেন্টারি পদ্ধতির সরকারে একটি বদ্ধমূল নিয়ম হলো এই যে, কোনো মন্ত্রণালয়ে কেলেঙ্কারি ঘটলে, তার দায় নিয়ে মন্ত্রীকে পদত্যাগ করতে হয়। এ কথা নিশ্চয়ই অজানা নয়। জাপানের একটি বহুল প্রচারিত গণমাধ্যম রিজেন্ট হাসপাতালের কাহিনি বিস্তারিতভাবে প্রকাশ করেছে। এ প্রকাশনাটি এমনি একসময় হলো জাপান চীন দেশ থেকে তার শত শত কোম্পানি বিভিন্ন দেশে সরিয়ে দিচ্ছে, যার একটি অংশ বাংলাদেশ প্রত্যাশা করতে পারে। জাপানি পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনের কারণে যদি আমাদের সে প্রত্যাশা ক্ষতিগ্রস্ত হয় তাহলে তার জন্য কে দায়ী হবে?

লেখক : সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি।
সুত্র : বাংলাদেশ প্রতিদিন

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ