• সিলেট, সকাল ১০:২০, ১৮ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

উক্কাশাহ ইবনে মিহসান (রা.), বিনা হিসাবে জান্নাতের প্রতিশ্রুতিপ্রাপ্ত সাহাবি

admin
প্রকাশিত নভেম্বর ৩, ২০২৫
উক্কাশাহ ইবনে মিহসান (রা.), বিনা হিসাবে জান্নাতের প্রতিশ্রুতিপ্রাপ্ত সাহাবি

Manual7 Ad Code

উক্কাশাহ ইবনে মিহসান (রা.),
বিনা হিসাবে জান্নাতের প্রতিশ্রুতিপ্রাপ্ত সাহাবি

মাইমুনা আক্তার

Manual6 Ad Code

 

তাঁর নাম উক্কাশাহ/উকাশাহ। উপনাম আবু মিহসান। পিতা মিহসান ইবনে হুরসান। জাহিলি যুগে বনু আব্দে শামস গোত্রের ‘হালিফ’ তথা মৈত্রী চুক্তিবদ্ধ বন্ধু।

Manual4 Ad Code

বদরি সাহাবি। শীর্ষস্থানীয় সাহাবিদের একজন, যাঁর ব্যাপারে সরাসরি রাসুল (সা.) বিনা হিসাবে জান্নাতপ্রাপ্তির ঘোষণা দিয়েছেন। হিজরতের আগে ইসলাম গ্রহণ করেন এবং মদিনায় হিজরত করেন। বদর যুদ্ধে বীরত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।

মহিলা সাহাবি উম্মে ক্বাইস বিনতে মিহসান (রা.) তাঁর বোন। আবু সিনান (রা.) তাঁর বড় ভাই। (উসদুল গাবাহ ৩/৫৬৪)
বদর, উহুদ, খন্দকসহ সব যুদ্ধে তিনি রাসুল (সা.)-এর সঙ্গে শরিক ছিলেন। বদর যুদ্ধে বীরত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন, যা একটু আগে বলা হয়েছে।

Manual7 Ad Code

এ যুদ্ধে তাঁর তরবারিটি ভেঙে যায়। তখন রাসুল (সা.) খেজুরগাছের একটি ডাল তাঁর হাতে তুলে দেন। ডালটি হাতে নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তা শক্ত ঝকঝকে লোহার তরবারিতে পরিণত হয়ে যায়। তা দিয়েই তিনি যুদ্ধ করেন এবং বীরত্বের দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন। এই তরবারি দ্বারা তিনি মৃত্যু পর্যন্ত যুদ্ধ করেন।

সুবহানাল্লাহ। এই তরবারিটির নাম ছিল ‘আওন’। (উসদুল গাবাহ ৩/৫৬৪—৫৬৫; আস-সিরাতু নাবাবিয়্যাহ, ইবনে কাসির ২/৪৪৬)

ষষ্ঠ হিজরির রবিউল আউওয়াল মাসে রাসুল (সা.) বনু আসাদের বিরুদ্ধে ৪০ জনের একটি বহিনী প্রেরণ করেন। ওই বাহিনীর কমান্ডার ছিলেন উক্কাশাহ (রা.)। বনু আসাদের বসতি ছিল মদিনার ‘গামার’ নামক কূপের আশপাশে। বনু আসাদের লোকজন টের পেয়ে আগেভাগেই এলাকা ছেড়ে অন্যত্র পালিয়ে যায়। উক্কাশাহ (রা.) মুজাহিদ বাহিনীকে নিয়ে সেখানে উপস্থিত হয়ে কাউকে পেলেন না। পেয়েছেন তাদের ছেড়ে যাওয়া ২০০ উট ও কিছু ছাগল। তিনি তা নিয়ে মদিনায় ফিরে আসেন। (আত-ত্বাবাক্বাতুল কুবরা ২/৬৫)

বিনা হিসাবে জান্নাতপ্রাপ্তির সুসংবাদ

Manual6 Ad Code

একদিন রাসুল (সা.) ইরশাদ করলেন, আমার উম্মতের মধ্যে ৭০ হাজার এমন হবে, যারা বিনা হিসাবে জান্নাতে প্রবেশ করবে। সারিবদ্ধভাবে নয়; একসঙ্গে প্রবেশ করবে। উক্কাশাহ (রা.) সঙ্গে সঙ্গে আরজ করলেন, ‘ইয়া রাসুলাল্লাহ! আমার জন্য দোয়া করুন, আল্লাহ যেন আমাকে তাদের অন্তর্ভুক্ত করেন।’ রাসুল (সা.) সঙ্গে সঙ্গে দোয়া করলেন, হে আল্লাহ! ‘উক্কাশাকে তাদের অন্তর্ভুক্ত করুন। এরপর আরেক ব্যক্তি বলল, ‘ইয়া রাসুলাল্লাহ! আমার জন্যও দোয়া করুন।’ রাসুল (সা.) ইরশাদ করলেন, ‘উক্কাশাহ তোমার আগে এই সুযোগ নিয়ে নিয়েছে। (মুসলিম : ১/১১৬)

ইন্তেকাল

১২ হিজরি সনে আবু বকর (রা.) খালিদ ইবনে ওয়ালিদ (রা.)-কে মিথ্যা নবীর দাবিদার ‘তুলাইহা আল-আসাদির বিদ্রোহ নির্মূলের দায়িত্ব দেন। উক্কাশা (রা.) ও সাবিত ইবনে আকরাম (রা.) ছিলেন খালিদের সৈন্যদলের অগ্রসৈনিক। নিয়মানুযায়ী তাঁরা মূল বাহিনীর আগে আগে চলছিলেন। হঠাৎ ‘বুযাখাহ’ নামক স্থানে তুলাইহার বাহিনীর সঙ্গে তাঁদের সংঘর্ষ হলো। তুলাইহার সঙ্গে ছিল তার ভাই সালামাও। সালামা সাবিত (রা.)-এর ওপর এবং তুলাইহা উক্কাশাহ (রা.)-এর ওপর। সালামা অল্প সময়ের মধ্যে সাবিতকে শহীদ করে ঝাঁপিয়ে পড়ল উক্কাশাহ (রা.)-এর ওপর। তুলাইহা ও সালামা দুই ভাই মিলে তাঁকেও শহীদ করে দেয়। তারা শহীদদ্বয়ের লাশ ফেলে রেখে চলে গেল। খালিদ (রা.) তাঁর বাহিনী নিয়ে শহীদদের লাশের কাছে এলেন। তাঁদের ক্ষতবিক্ষত লাশ দেখে মর্মাহত হলেন। অতঃপর রক্তমাখা শরীর ও কাপড়ে তাদের সেই মরুভূমির বালুতে দাফন করলেন। তখন উক্কাশা (রা.)-এর বয়স ছিল ৪৫ বছর। (আত-ত্বাবাক্বাতুল কুবরা ৩/৬৮)

আল্লামা জাহাবি (রহ.) বলেন, এটা ১১ হিজরি সনের ঘটনা (১২ হিজরি সনের ঘটনা নয়)। (সিয়ারু আলামিন নুবালা ৩/১৮৯)

বিডি প্রতিদিন

Latif Travels
Metropolitan University

আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন

📞 মোবাইল: +8801712540420

✉️ ইমেইল: pavel.syl@gmail.com