কোভিড-১৯ চিকিৎসায় হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইন ও এইচআইভির ওষুধের ব্যবহার বন্ধ

প্রকাশিত: ৩:১৪ অপরাহ্ণ, জুলাই ৫, ২০২০

কোভিড-১৯ চিকিৎসায় হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইন ও এইচআইভির ওষুধের ব্যবহার বন্ধ

সিল-নিউজ-বিডি ডেস্ক :: কোভিড ১৯-এর ভ্যাকসিন আবিষ্কার না হওয়ায় ম্যালেরিয়ার ওষুধ হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইন দিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে করোনা রোগীদের চিকিৎসা চলছিল এতদিন। এই ওষুধের ব্যবহার বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।শুধু তাই নয়, এইচআইভির ওষুধ লোপিনাভির/ রিটোনাভিরের ব্যবহারও বন্ধের কথা বলেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
কোভিড-১৯ আক্রান্তদের মৃত্যুঝুঁকি কমাতে হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইন ও লোপিনাভিরের কোনো ভূমিকা না পাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে ইন্টারন্যাশনাল স্টিয়ারিং কমিটির সুপারিশে ওষুধটির ব্যবহার বন্ধের নির্দেশ দিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। খবর রয়টার্স ও ফার্স্ট পোস্টের।

হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইন ওষুধ মূলত ম্যালেরিয়ার চিকিৎসায় ব্যবহার হয়। করোনাভাইরাসের এখন পর্যন্ত কোনো কার্যকর দাওয়াই আবিষ্কৃত না হওয়ায় বিভিন্ন দেশে ওষুধটির পরীক্ষামূলক ব্যবহার চলছে। এক গবেষণায় হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইন ও ক্লোরোকুইন কোভিড-১৯ রোগীদের মৃত্যুঝুঁকি বাড়াতে পারে বলে ইঙ্গিত পাওয়ার পর গত ২৫ মে এর ব্যবহার স্থগিত করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। গত ৩ জুন ওই সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসে সংস্থাটি ক্লিনিক্যাল পরীক্ষায় ওষুধ দুটি ব্যবহারের অনুমোদন দেয়। শনিবার সংস্থাটির পক্ষ থেকে আবার এর ব্যবহার বন্ধ করার পরামর্শ এলো।

হাসপাতালে ভর্তি কোভিড-১৯ রোগীদের হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইন প্রয়োগে মৃত্যুঝুঁকি না কমার কথা জানিয়ে এর ব্যবহার বন্ধ রাখার পরামর্শ দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। তাদের বিবৃতিতে বলা হয়েছে– অন্তর্বর্তীকালীন পরীক্ষা-নিরীক্ষায় এই ওষুধগুলো প্রয়োগে রোগীর মৃত্যুঝুঁকি কমার কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। এই ওষুধের কোনো প্রভাব থাকলেও তা খুবই সামান্য। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোগী ও ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে একই ধরনের ফল পাওয়া গেছে।

এপ্রিলের শেষ সপ্তাহে খোদ যুক্তরাষ্ট্রের ওষুধ প্রশাসন এই ওষুধের ঝুঁকির ব্যাপারে সতর্ক করে দেয়। তবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প শুরু থেকেই এই ওষুধটিকে ‘গেমচেঞ্জার’ আখ্যা দিয়ে আসছেন।

১৮ মে ট্রাম্প দাবি করেন, তিনি নিয়মিত এই ওষুধ গ্রহণ করছেন। তার সংস্পর্শে আসা দুই ব্যক্তির করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ার পর সতর্কতা হিসেবে এগুলো গ্রহণ করছেন বলে জানিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, মৃত্যুঝুঁকি কমাতে এই ওষুধের কোনো কার্যকারিতা পাওয়া যায়নি।