নবীগঞ্জে সদরঘাটের হোল্ডিং ওয়ার্কশপে চুরি

প্রকাশিত: ৩:১৮ অপরাহ্ণ, জুলাই ৫, ২০২০

নবীগঞ্জে সদরঘাটের হোল্ডিং ওয়ার্কশপে চুরি

নবীগঞ্জ প্রতিনিধি :: হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার দেবপাড়া ইউনিয়নের সদর ঘাট নতুন বাজারে গত রাতে আনুমানিক ২/৩টার ভিতরে এক দুর্দর্ষ চুরি সংগঠিত হয়। ঢাকা সিলেট মহাসড়কের পশ্চিম পাশে বাজারের মসজিদের সাথে সংযুক্ত শিবলী গ্রিল ওয়ার্কশপে এ চুরি সংগঠিত হয়।

জানা যায়,শিবলী গ্রিল ওয়ার্কশপের উত্তর পাশের ওয়াল ভেঙে ভিতরে ডুকে নতুন একটি এবং পুরাতন একটি হোল্ডিং মেশিন নিয়ে যায় চুরেরা। যার বর্তমান মূল্য প্রায় ৯৫,০০০ টাকা। উক্ত দোকানের সত্ত্বাধিকারী মদন মোহন সোমের সাথে আলাপ করলে সে জানায়, আমার দোকানে একটা মেশিন থাকা সত্ত্বেও কাজের প্রয়োজনে গত ৪/৫দিন আগে আরেকটি নতুন মেশিন কিনে এনেছি হয়তো চুরেরা সেটা জেনেছে এবং যে রুমে মেশিনগুলো রাখা হয় সে রুমে কেউ থাকে না তাই এই সুযোগ তারা কাজে লাগিয়েছে। বাজারে পাহারাদার ছিল কি না সেটা জানতে চাইলে তিনি বলেন, বাজারে পাহারাদার থাকা অবস্থায় কয়েকদিন পর পর এরকম চুরি সংগঠিত হয় যার বর্তমান গতরাতের সিরিয়ালে হয়তো আমি ছিলাম তাই তারা তাদের কাজ সেরে নিয়েছে,এমতাবস্থায় পাহারাদার থাকা আর না থাকা সমান।

এ বিষয়ে বাজার কমিটির সভাপতি শাহ আমজাদ আলী ও সেক্রেটারি শেখ নজরুল ইসলামকে অবগত করলে তারা জানান, এ বিষয়ে আমরা অবগত হলাম, অবশ্যই খতিয়ে দেখা হবে।

উক্ত বিষয়ে বর্তমান চেয়ারম্যান আব্দুল মুহিত চৌধুরীর কাছে ফোনে জানাতে চাইলে তিনি বলেন, আমি জানলাম এখন থানায় একটা জিডি করেন বলে কল কেটে দেন।

পরে পার্শ্ববর্তী গোপলার বাজার তদন্ত কেন্দ্রে যোগাযোগ করে বিষয় অবগত করলে এস আই মাজহারুলের নির্দেশে এ এস আই রুবেল এসে উক্ত স্থান পরিদর্শন করেন এবং দোকানের কর্মচারী ও বাজারের পাহারাদারসহ অন্যান্যদের জবানবন্দি সংগ্রহ করেন।

আলাপকালে তিনি বলেন, একটা ঘরের পাকা দেওয়াল ভাঙা হলো কিন্তু বাজারে পাহারাদার থাকা সত্ত্বেও সে আওয়াজ শুনলো না তার কারণ কি ? দোকানের কর্মচারী বা পাহারাদার জড়িত আছে কি না উক্ত বিষয়ে তিনি প্রাথমিক তদন্ত করে যান এবং বাজার কমিটিকে সে বিষয়ে খতিয়ে দেখে চুর সনাক্ত করার পরামর্শ দেন। এ সংবাদ লেখা পর্যন্ত মামলার প্রস্তুতি চলছে।

উল্লেখ্য,গত ৬/৭দিন আগে সদর ঘাট ফকির পাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সর রুমের তালা ভেঙে বিদ্যালয়ের ৭টা ফ্যান, একটা গ্যাস সিলেন্ডার চুলাসহ দুই বান্ডিল রড সর্বমোট প্রায় ৪০হাজার টাকার মালামাল চুরি হয়। যার ফলে থানায় মামলা করেন স্কুল কর্তৃপক্ষ। সে মামলাটি ও তদন্তাধীন রয়েছে।