গোয়াইনঘাটের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত, মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত

প্রকাশিত: ৪:৫৪ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১৬, ২০২০

গোয়াইনঘাটের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত, মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত

গোয়াইনঘাট প্রতিনিধি :
গোয়াইনঘাট উপজেলায় মঙ্গলবার মধ্যরাত থেকে বুধবার দুপুর পর্যন্ত টানা বৃষ্টিতে অনেক এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। যা মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত করার পাশাপাশি সড়কে কমেছে যান চলাচল ।
যানবাহন চলাচলে ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অফিস-আদালতের যেতে সৃষ্টি হয়েছে প্রতিবন্ধকতা। কৃষিক্ষেত্রে খেটে খাওয়া দিনমজুর মানুষ ঘরবন্দী অলস সময় পার করছেন। রেকর্ড পরিমাণ বৃষ্টির কারণে মধ্যবিত্ত ও নিম্ন আয়ের মানুষেরা আজ যেন অঘোষিত ছুটি পেয়েছন। ব্যবসায়ীরা রীতিমত দোকানপাট খোলতে পারছেন না। ব্যবসায়ী শাহিন আহমদ বলেন দোকানে আসার জন্য রাস্তায় যানবাহন না পাওয়া দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতে হয়েছে। অনেকক্ষণ অপেক্ষার পর অনেকটা কাকভেজা হয়ে দোকানে এসেছেন। কিন্তু অবিরাম বৃষ্টিতে ঠিকমতো দোকান খুলে বসতে পারছেন না, বৃষ্টির জন্য কাস্টমারও নেই। আকাশের বাঁধভাঙ্গা বৃষ্টিতে আর উজান থেকে নেমে আসা জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়েছে রুস্তমপুর, তোয়াকুল ও নন্দিরগাঁও ইউনিয়নের হাওরের নিম্নাঞ্চল। পাহাড়ি ঢলে আর অবিরাম বৃষ্টির পানিতে খাল-বিল নদী-নালা টইটুম্বুর। নদীপারের ও হাওরের অনেক ঘরবাড়িতে পানি উঠেছে।। নিম্নাঞ্চলের অনেকটা ফসলি জমি তলিয়ে গেছে। রুস্তমপুর ইউ/পি চেয়ারম্যান সাহাবুদ্দিন সিহাব জানান আকস্মিক বন্যায় রাস্তার কিনারে পানি তলিয়ে গেছে ইউনিয়নের প্রায় বেশিরভাগ ফসলি জমি।
তোয়াকুল ইউ/পি’র কৃষক জহির উদ্দিন ও নন্দিরগাঁও ইউ/পি’র আলাউদ্দীন বলেন এই বৎসর বারবার বন্যার ফলে কৃষকরা ছিলেন হতাশাগ্রস্থ। প্রায় বেশিরভাগ কৃষক সময় মতো ধানের বীজ বপন করতে পারেন নাই। কৃষকরা ছিলেন ধানের চারা সঙ্কটে। তবুও শেষমেষ ক্ষেতের কোন জমি পতিত থাকে নাই। সময় মত ক্ষেত করতে পেরে কৃষকরা হয়ে উঠেছিল উৎফুল্ল। প্রতি বছর এই সময়ে ছোটখাটো বন্যা হয়, যদি বন্যার স্থায়িত্ব দীর্ঘ না হয় তাহলে ফসলি জমির জন্য ভালো, তবে যেভাবে বৃষ্টি আর বন্যার পানি বাড়ছে এইভাবে বাড়তে থাকলে আগামীকাল উঁচু জায়গার অনেক ফসলি জমি তলিয়ে যাওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। তাই কৃষকরা আছেন একটু উদ্বিগ্ন।
রুস্তুুমপুর ইউ/পি চেয়ারম্যান সাহাবুদ্দিন সিহাব জানান আকস্মিক বন্যায় রাস্তার কিনারে পানি, তলিয়ে গেছে ইউনিয়নের প্রায় বেশিরভাগ ফসলি জমি। রুস্তমপুর ইউ/পি’র শিব্বির আহমদ জানান হাদারপার, উপর গ্রাম, ভিতরগুল ও দারিরখেল সহ অনেক জায়গার রাস্তাঘাট ও ফসলি জমি বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। নন্দিরগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এস,কামরুল হাসান আমিরুল বলেন নন্দিরগাঁও মানাউরা নওয়াগাঁও কদমতলা দ্বারিরপার সহ আংশিক কিছু গ্রামের লামার সাইটের কিছু ফসলি জমি পানির নিচে রাস্তাঘাটে এখনও নিরাপদ আছে।
চলিতা বাড়ীর বাচ্চু মিয়া বলেন চালিতা বাড়ি স্কুলের উত্তর সাইডে রাস্তার দুই জায়গায় পানিতে বড় ধরনের ভাঙ্গনের সৃষ্টি হয়েছে। ঘরবাড়ি এখনো ঠিক আছে বড় ধরনের ক্ষতির হয় নাই।

 

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ