প্রিয় বাবর তুমি কাঁদিয়ে গেলে,তোমার মৃত্যুতে সহকর্মীরা শোকাহত

প্রকাশিত: ৮:১৯ অপরাহ্ণ, আগস্ট ৭, ২০২০

প্রিয় বাবর তুমি কাঁদিয়ে গেলে,তোমার মৃত্যুতে সহকর্মীরা শোকাহত

লতিফ নুতন :: সিলেট জেলার জৈন্তাপুর উপজেলার মেধাবী আওয়ামীলীগ নেতা,উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক,জৈন্তাপুর তৈয়ব আলী ডিগ্রী কলেজের সহকারী অধ্যাপক,বঙ্গবন্ধু শিশু কিশোর মেলার জৈন্তাপুর উপজেলা শাখার প্রতিষ্টাতা সাধারন সম্পাদক ফয়েজ আহমদ বাবর সবাইকে কাঁদিয়ে বৃহস্প্রতিবার না ফেরার দেশের চলে গেলেন। আর স্নেহভাজন বাবরের কন্ঠে লতিফ ভাই কেমন আছেন শুনা যাবে না। আমার তার সাথে ব্যাক্তিগত সম্পর্ক ছিল গভীর। গত ১০/১২ দিন পূর্বে আমাকে বাবর ফোন করে বলে ভাই কেমন আছেন আমি আপনাদের পত্রিকায় কলাম লিখতে চাই। আপনাদের প্রিন্ট পত্রিকা কবে বের হবে। আমি তাকে বললাম তুমি আমাদের অন লাইনে নিয়মিত লিখতে পারবে। ব্যস্ততার কারণে তাকে বলেছিলাম পরে ফোন করব। সে ফোন আর হল না। ক্ষমা চাই বাবর তুমি আমাকে ক্ষমা করে দাও।
গত দুই মাসে কত প্রিয়জন হারালাম। লাশের করাল আর কত কাঁদে নিতে হবে। গত ১৬ জুন আমার পিতাকে হারাম। আমার পরিবার আজও শোকাহত। আব্বার কথা মনে হলেও হৃদয়ে কাঁপন উঠে। জন্মদাতা পিতাকে হারালে কত কষ্ট তা পিতা হারালে উপলব্ধি করলে বুজা যায়। আমরা গত ১৫ জুন সিলেটের জনপ্রিয় সাবেক মেয়র,সিলেট মহানগর আওয়ামীলীগের সভাপতি,আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় কার্যকরী কমিটি’র সদস্য, প্রিয় সংগঠন বঙ্গবন্ধু শিশু কিশোর মেলার সিলেটের প্রধান উপদেষ্টা বদর উদ্দিন আহমদ কামরানকে হারালাম। তিনি আজ না ফেরার দেশে। আর কামরান ভাই বলে ডাকতে পারবো না। আব্বা বলে ডাকছি না দেড় মাস ধরে। কত যে জ্বালা। বাবর বলে আর আর ডাকতে পারবো না। বাবর তুমি ফিরে এসো। আজ বাদ আসর চির নিন্দ্রায় শায়িত হয়েছো। তুমার জন্য দোয়া করি তুমি জান্নাতবাসী হয়। আমার পিতার জন্য জন্নাতের জন্য সবাই দোয়া করবেন দরখাস্ত রহিল সকলের কাছে। কামরান ভাই তুমি চিরঅম্লান। তিনি যেন জন্নাতের মেহমান হন আমরা দোয়া করি।
জৈন্তাপুরবাসীর প্রিয় উদিয়ান নেতা ফয়েজ আহমদ বাবরের সাথে আমার পরিচয় ১৯৮৯ সালে। আমি যখন সিলেট সরকারী কলেজ জাতীয় ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক জৈন্তাপুরের আমাদের নেতা খালেদ ভাই ও কাদির ভাই আমার সাথে বাবর ও শাহেদকে পরিচয় করে দিলেন। খালেদ ভাই ও কাদির ভাই বাবরের সাথে পরিচয় করে দিয়ে বলেছিলেন লতিফ ভাল একজন সংগঠক বাবর ও শাহেদ। তুমি তাদের দিকে খেয়াল রাখবে। বাবরের ভর্তির ব্যবস্থা করে দিলাম। প্রিয়ভাজন বাবর ভর্তি হলেন। জাতীয় ছাত্রলীগের মিছিলের প্রিয় মুখ হলেন বাবর। অনেক প্রতিভার অধিকারী ছিলেন বাবর। ভাল সংগঠক। হাসিউজ্জ্বল প্রতিভাবান নেতা বাবর হয়ে উঠলেন। তুমার স্মৃতি অম্লাণ। কবি’র ভাষায় বলতে চাই আমার ছবি কই বে কথা আমি যখন থাকবো না। বাবর তোমার লেখা আর হল না। আমাদের আরো একজন প্রিয় মুখ বঙ্গবন্ধু শিশু কিশোর মেলার জৈন্তাপুর উপজেলা শাখার সাবেক সভাপতি মরহুম দিলাল আজ বেঁচে নেই। বেশ ক’বছর পুর্বে স্নেহভাজন বাবরের মত প্রিয় দিলাল না ফেরার পথে চলে গেলেন। শাহেদ আর বারব জুটি। দুই জনই দুই বন্ধু আবার অধ্যাপনা করতেন। রাজনীতি করতেন। সফল রাজনীতিবীদ বারব। তরুন প্রজন্মের অহংকার প্রিয় বাবর তুমি আজীবন স্মৃতি হয়ে থাকবে। তুমি অম্লান। আল্লাহ যে তুমাকে জান্নাতের মেহমান করেন। ক্ষমা করে দিও বাবর সেদিন তুমার সাথে শেষ কথা হয়নি। ক্ষমা চাই।
লেখক :: প্রধান সম্পাদক,দৈনিক সিলেটের দিনকাল,উপদেষ্টা সম্পাদক সিল নিউজ বিডি ডট কম,কলামিষ্ট।

সংবাদ অনুসন্ধান ক্যালেন্ডার

MonTueWedThuFriSatSun
  12345
2728     
       
28      
       
       
       
1234567
2930     
       

আমাদের ফেইসবুক পেইজ