মালয়েশিয়ায় করোনারোধে প্রতিদিন ক্ষতি ২ বিলিয়ন রিংগিত

প্রকাশিত: ৯:০১ অপরাহ্ণ, জুলাই ২২, ২০২০

মালয়েশিয়ায় করোনারোধে প্রতিদিন ক্ষতি ২ বিলিয়ন রিংগিত

অনলাইন ডেস্ক :;

করোনাভাইরাস পরিস্থিতি মোকাবেলায় আমরা এখন সফল। তার মানে এই নয় আমরা পুরোপুরি বিপৎমুক্ত আছি। সরকারি ও পাবলিক ক্লাস্টারে ভাইরাস ছড়ানোর আশঙ্কা এখনও রয়েই গেছে।

সরকার চিন্তা-ভাবনা করছে এ সব স্থানে মাস্ক পরিধান করা বাধ্যতামূলক করা হতে পারে। কোভিড-১৯ সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে থাকলেও কয়েকদিন এটা সামান্য বেড়েছে। তাই সবাইকে সচেতন থাকতে হবে। এমন যেন না হয় পূনরায় লকডাউন আরোপ করতে হবে।

সোমবার স্থানীয় সময় বিকাল ৪টায় জাতীয় সংসদ থেকে কোভিড-১৯ পরিস্থিতি সম্পর্কে জাতির উদ্দেশে এক ভাষণে এ সব কথা বলেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী তান শ্রী মহিউদ্দিন ইয়াসিন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, টানা তিন মাস লকডাউনে গৃহবন্দি ছিলাম আমরা। প্রতিদিন সরকারের ক্ষতি ২ বিলিয়ন রিংগিত। সরকারি-বেসরকারি সব সেক্টর বন্ধ হয়ে গেছে। ফ্যাক্টরি-কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে, লোকজন বেকার হয়ে পড়েছে। অর্থনীতি বড় ধাক্কা খেয়েছে। আবার যদি মুভমেন্ট কন্ট্রোল অর্ডার ফিরিয়ে আনতে হয় তাহলে আমরা বড় ধরনের অর্থনীতির মন্দার কবলে পড়ে জিডিপি কমে যাবে। লোকজন বেকার হয়ে পড়বে। বর্তমানে ৫.৩ শতাংশে বেকারত্ব বৃদ্ধি পেয়েছে। আমরা করোনা জয় করেছি বলে এই নয় আমাদের সবাইকে করোনা স্বাস্থ্যবিধি, সামাজিক দূরত্ব, ক্লাস্টার এড়িয়ে চলা, সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন, শিশু ও বৃদ্ধদের মাস্ক পরিধান বাধ্যতামূলক করাসহ নতুন ঘোষিত এসওপি এবং পিকেপিপি মেনে চলতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, সংক্রমণ রোধে প্রয়োজনে মালয়েশিয়ায় আগতদের আলাদা কোয়ারেন্টিনে রাখা হবে এবং এটা যেন যথাযথ পালন করা হয় লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর জরিমানার বিধান করা হবে।

দক্ষিণ এশিয়ার আইকন হিসেবে মালয়েশিয়া কোভিড-১৯ প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণে ব্যাপক সফলতা অর্জন করে প্রশংসিত হয়েছে দেশটি। গত এক মাস ধরে সারা দেশে করোনা পজেটিভ রোগীর সংখ্যা ২৪ ঘণ্টায় এক ডিজিটের মধ্যে নেমে এসেছিল। যদিও গত ২ দিন ধরে আক্রান্তের সংখ্যা কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে।