‘জুড়ীতে কথিত চন্দ্রপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান চিহ্নিত না হলেও প্রাচীণ সভ্যতার নিদর্শণ থাকতে পারে’

প্রকাশিত: ১০:১৩ অপরাহ্ণ, জুলাই ২৬, ২০২০

‘জুড়ীতে কথিত চন্দ্রপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান চিহ্নিত না হলেও প্রাচীণ সভ্যতার নিদর্শণ থাকতে পারে’

স্বপন দেব, মৌলভীবাজার :: মৌলভীবাজার জেলার জুড়ী উপজেলায় কথিত চন্দ্রপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান সুস্পষ্টভাবে চিহ্নিত না হলেও ওই স্থানে প্রাচীণ সভ্যতার নিদর্শন থাকতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের পর্যবেক্ষণকারী প্রতিনিধি দল।
রোববার( ২৬ জুলাই) ুপুুরে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রত্নসম্প ও সংরক্ষণ বিভাগের ছয় সদস্যের প্রতিনিধি ল জুড়ী উপজেলার সাগরনাল ইউনিয়নের ীঘিরপার এলাকাটি পরিদর্শন করেন।
এ সময় প্রতিনিধি ল গণমাধ্যমকর্মীরে বলেন, গত ১৫ এপ্রিল ’২০ সিলেটের পূর্বাঞ্চলের সাপ্তাহিক দিবালোক পত্রিকায় ‘শ্রীহট্টের চন্দ্রপুর বিশ্ববিদ্যালয় এক অনন্য নিদর্শন’ শিরোনামে লেখক ও ব্যাংকার অমিতাভ পাল চৌধুরী এর একটি লেখা প্রকাশিত হয়। সেখানে উল্লেখ রয়েছে খ্রিস্টীয় শম শতকের প্রথম ভাগে (আনুমানিক ৯৩৫খ্রি:) চন্দ্রবংশীয় বৌদ্ধ রাজা শ্রীচন্দ্র ‘চন্দ্রপুর বিশ্ববিদ্যালয়’ নামে শ্রীহট্টে একটি উচ্চতর বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তাম্রশাসনের সূত্র অনুযায়ী খ্রিস্টীয় শ শতকের প্রথম ভাগে উত্তরে কুশিয়ারা নদী, ক্ষিণ ও পশ্চিমে মনু নী এবং পূর্বে ইন্দেশ্বরের পাহাড়ি অঞ্চল বা পাথরিয়া অঞ্চল এই সীমানার মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান ছিল। এ প্রসঙ্গে কেউ কেউ মৌলভীবাজার জেলার জুড়ি উপজেলার সাগরনাল ইউনিয়নের দীঘিরপাড় এলাকার প্রতি ইঙ্গিত করেছেন।
এর সূত্রানুযায়ী সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের নির্দেশক্রমে কথিত বিশ্ববিদ্যালয় ও পুরাকীর্তি অহঃরয়ঁরঃষবং অপঃ-১৯৬৮ অনুসারে সংরক্ষিত ঘোষণা ও সংস্কার-সংরক্ষণের কোন সুযোগ আছে কি না এ সম্পর্কে সরেজমিন পরিদর্শন পূর্বক আলোকচিত্র ও মতামতসহ প্রতিবেদন প্রেরণের জন্য সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর, আঞ্চলিক পরিচালকের প্তর, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগ নিয়ে গঠিত কুমিল্লা কার্যালয়ের আঞ্চলিক পরিচালক ড. মো. আতাউর রহমানের নেতৃত্বে ছয় সদস্যের প্রতিনিধি ল পরিদর্শন কাজ শুরু করে।
গতকাল শনিবার কুলাউড়ার ভাটেরা এলাকা পরিদর্শন করেছেন প্রতিনিধি ল। আগামী কাল (সোমবার) রাজনগর উপজেলার পশ্চিম ভাগ এলাকা পরির্শন করা হবে বলে জানান ড. মো. আতাউর রহমান ।
তিনি জানান, ১৯৬১ সালে মৌলভীবাজার জেলার রাজনগর উপজেলার পশ্চিমভাগ গ্রামে প্রাপ্ত তাম্রশাসন অনুযায়ী কথিত চন্দ্র্রপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান উত্তরে কুশিয়ারা নদী, ক্ষিণ ও পশ্চিমে মনু নী এবং পূর্বে পাথরিয়া অঞ্চল এই সীমানার মধ্যে ছিল। সে হিসেবে রাজনগর বা ভাটেরায় সেটা থাকার সম্ভাবনাই বেশি। জুড়ীর সাগরনালে চন্দ্রপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থানের সম্ভাবনা কম। তবে এখানে প্রাপ্ত কিছু নিদর্শন মতে এটা নিশ্চিত বলা যায় যে, এ এলাকায় প্রাচীণ সভ্যতা বলে কিছু ছিল।
প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর, কুমিল্লা কার্যালয়ের আঞ্চলিক পরিচালক ড. মো. আতাউর রহমান গণমাধ্যমকর্মীদের বলেন, চন্দ্রপুুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্ভাব্য তিনটি স্থান আমরা পরিদর্শন শেষ করে প্রাপ্ত তথ্যগুলো মন্ত্রণালয়ে পাঠাবো। সেখানে এ বিষয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হবে।

প্রতিনিধি লকে সার্বিক সহায়তা করেন জুড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল-ইমরান রুহুল ইসলাম ও সাগরনাল ইউপি চেয়ারম্যান এমাদুল ইসলাম চৌধুরী লিয়াকত।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ